দ্বিতীয় দিনে ইসিতে ১৪১ আপিল জমা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনে(ইসি) দ্বিতীয় দিনে মোট ১৪১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। সোমবার (২০ নভেম্বর) কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি বেগম সুফিয়া কামালের সাহিত্যে সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে কবি যোগ দেন। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে ছাত্রী হল নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
কবির ভাষায়-
“তোমাদের ঘরে আলোর অভাব কভু নাহি হবে আর
আকাশ-আলোক বাঁধি আনি দূর করিবে অন্ধকার।
শস্য-শ্যামল এই মাটি মা’র অঙ্গ পুষ্ট করে
আনিবে অটুট স্বাস্থ্য, সবল দেহ-মন ঘরে ঘরে।”
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনে(ইসি) দ্বিতীয় দিনে মোট ১৪১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদনের জন্য ৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সময় দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন পাঠাতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসিতে আবেদন জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার শতাধিক পর্যবেক্ষক।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এমন মন্তব্য করে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে থাকা শ্রম অধিকারের বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা আরো অগ্রগতি চায়।