• 02 May, 2024

কুষ্টিয়ায় অপরিপক্ক তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে

কুষ্টিয়ায় অপরিপক্ক তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে

বরকতপূর্ণ পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হয়েছে। রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তরমুজ। এ বছর রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তরমুজের দামও বাড়ছে। তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি অপরিপক্ক তরমুজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকায়। অথচ তিনদিন আগে ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত।

ইফতারে জনপ্রিয় রসালো ফল তরমুজ। ইফতারিতে সব শ্রেণির মানুষ ফল রাখার চেষ্টা করেন। রোজার কারণে তরমুজের দাম বাড়িয়ে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা অস্বাভাবিক। তাই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের অনেকেই তরমুজ কিনছেন না। অকারণে দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজারের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তারা। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়া পৌর বাজার এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ফারুক হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী  বলেন, আমি ছাত্রাবাসে থেকে অনার্সে পড়ালেখা করি। রোজা আছি এজন্য তরমুজ কিনতে এসেছি। কিন্তু অপরিপক্ক তরমুজ ৮০ টাকা কেজি। একটা তরমুজ কেনার বাজেট নেই। এজন্য আজ কিনবো না। রোজার আগে যে তরমুজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি ছিল, সেই তরমুজ রমজানে ৮০ টাকা কেজি। রমজানে অনেক দেশে জিনিসপত্রের দাম কমে আর আমাদের দেশে বাড়ে। এটা খুবই দুঃখজনক। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে কিন্তু কমে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের কষ্ট কেউ বোঝে না। 

তরমুজ ক্রেতা বাবলু মিয়া  বলেন, বাসার সবাই রোজায় আছে। ইফতারের জন্য ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনলাম। তরমুজ এখনো পরিপক্ক না। তবুও কিনলাম। তরমুজের এতো বেশি দাম জীবনেও দেখিনি ও শুনিনি। তিন কেজি ওজনের একটা তরমুজ ২৪০ টাকায় কিনলাম। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়। অথচ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সংসারে চাহিদামতো জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খেতে হয়। কারণ কম বেতনের বেসরকারি চাকরি করি। বেতন বাড়ে না, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। জনগণের কষ্টের কথা মাথায় রেখে সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা। বর্তমানে বাজার অনিয়ন্ত্রিত। বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। 

ওমর ফারুক  বলেন, ৮০ টাকা কেজি দরে ২০০ টাকা দিয়ে একটা তরমুজ কিনেছিলাম। বাসায় এনে ইফতারের আগে কেটে দেখি অপরিপক্ক। তরমুজের ভিতরে সাদা। স্বাদও ভালো না। বাজারে অপরিপক্ক তরমুজ বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমার মতো অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। বাজার মনিটরিং কর্মকর্তারা আমাদের কষ্ট বুঝে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।