• 21 May, 2024

ভোটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধিকার রক্ষা পরিষদ

ভোটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধিকার রক্ষা পরিষদ

ভোটার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় বৈষম্যমূলক নিয়মাবলী সংশোধনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধিকার রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এক বিশাল প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 সমাবেশে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী প্রার্থীগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান/মহাসচিবসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায দেশে গণতন্ত্রের দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক বড় দলগুলো প্রতি দেশের মানুষ আস্থা হারিয়েছে আবার নির্বাচন ব্যবস্থার উপরও সাধারণ মানুষ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছেনা। কারণ আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় বৈষম্যমূলক নিয়মাবলী রয়েছে যা সংবিধানের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। ভোটার নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় ভোটারগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলশ্রুতিতে, ভোটারগণ ভোট প্রয়োগ থেকে বিরত থাকছে যা আমরা ২০১৪ এবং ২০১৮ এর সংসদ নির্বাচনসহ সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও সাংসদীয়—উপ নির্বাচন সমূহ থেকে পরিলক্ষিত হই। ভোটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে জনগণ ভোট কেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়বে যা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কাম্য নয়। তাই আমরা ভোটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জোর দাবি জানাচ্ছি। এসময় তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে ১% ভোটারের পূর্ব স্বাক্ষর প্রদান করতে হয় যা সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক একটি প্রন্থা এবং ভোটের গোপনীয়তা ফাঁসের একটি কূটকৌশল। ১% ভোটের পূর্ব স্বাক্ষর করণ কালা কানুনের কারণে সারাদেশে লক্ষ লক্ষ ভোটার তাদের ভোটের গোপনীয়তা হারাচ্ছে ও রাজনৈতিক দলের রোষানলে পড়ে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে ১% ভোটার পূর্ব স্বাক্ষর করণ বিধান ১২ (২)(৩এ)এ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এসময় বক্তাগণ আরো বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এর ফলশ্রুতিতে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। যাতে একই দলকে বারবার ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা যায়। আমরা নির্বাচন কমিশন পূর্ণ গঠনের দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান কমিশন পুনরায় গঠনের দাবি জানিয়ে বক্তাগণ আরও বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট কে ঢেলে সাজাতে হবে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের সাজানো সরকারি দপ্তর সমূহের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাস্তবায়ন করা কখনোই সম্ভব নয়। তাই অনতিবিলম্বে একটি দেশরক্ষার সরকার গঠন করে তার মাধ্যমে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এসময় সংগঠনের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ২০১১ সালে এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর বিধান তুলে দিয়ে, সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অগ্রিম ১% ভোটারের স্বাক্ষর প্রদান ধারা ১২(২)(৩এ)এ বহাল করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থায় বাঁধা সৃষ্টি করে ও অগণতান্ত্রিক নতুন ধারা প্রতিষ্ঠা করে । বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়েছে অথচ এই সরকারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতাসীন দল এক এগারোর সরকারকে অবৈধ বললেও সেই সেনা নিয়ন্ত্রিত অগণতান্ত্রিক সরকারের করা বিধানের বৈধতা দিয়ে অগণতান্ত্রিক কালাকানুন চালু করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাই এই অবৈধ কালাকানুন কে অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে আমরা মনে করছি এবং অনতিবিলম্বে ধারা ১২ (২) (৩এ)এ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক রুবেল এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম—আহবায়ক বাহারানে সুলতান বাহার, যুক্ত ফোরাম এর সমন্বয়ক চাষী মামুন, সিরাজুল হক চেয়ারম্যান কৃষক শ্রমিক পার্টি, মিজানুর রহমান জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, মোস্তাক ভাসানী চেয়ারম্যান ন্যাপ ভাসানী,সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান বাংলাদেশ জনমত পার্টি,আশরাফ হাওলাদার চেয়ারম্যান বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন, মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রেসিডিয়াম সদস্য গণ ফ্রন্ট, আবু আহমদ ভূঞা চেয়ারম্যান বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী কল্যাণ দল, বশির আহমেদ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ গ্রীন মুভমেন্ট পার্টি, শাহনাজ হোসেন বাংলাদেশ তৃনমূল লীগ, মোঃ শহীদুননবী ডাবলু বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টি, স্বপন কুমার সাহা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি প্রমুখ।