• 03 May, 2024

স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে নড়াইল-১ আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্ত্রী চন্দনা হক

স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে নড়াইল-১ আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্ত্রী চন্দনা হক

সৈয়দ সম্রাট আলী, নড়াইলকণ্ঠ প্রতিনিধি : নড়াইল-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তির সহধর্মিণী স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক স্বামীর নৌকা প্রতীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কালিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘আমার স্বামী বি,এম কবিরুল হক মুক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরেও কৌশল গত কারনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করি। আমি জন্মগতভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক নৌকা। আমার ব্যক্তিগত ভোট ও নৌকায় দিবো। তাই বিগত দিনের মত আমার স্বামীর নৌকা প্রতীকের ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকার কারনে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে গেলাম। জয় হোক নৌকার। জয় হোক জননেত্রী শেখ হাসিনার। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেকে ভাগ্যবর্তী মনে করি। কারন জন্মসূত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তীতে আর এক মহান মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক ও পারিবারিক ভাবে স্বামী, সন্তান ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করি। আমার শ্বশুর ও আমার স্বামীর বড় ভাই ১৯৮৫ সালের ১১ই জুন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দ্বারা নির্মম ভাবে নিহত হন। তখন আমার স্বামী বয়সে অনেক ছোট ছিল। স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা কালিন সময় কালিয়ায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি অস্তিত্বের সংকটে আমার স্বামী বি,এম কবিরুল হক মুক্তি অল্প বয়সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাল ধরে। অল্প বয়সে ২ (দুই) বার কালিয়া পৌরসভার মেয়র ও বিগত ৩(তিন) বার পর পর মহান জাতীয় সংসদ সদস্য এবারও ৪র্থ বারের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।

এ সময় তার নিজ পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি চন্দনা হক, পিতা- মরহুম আঃ সত্তার সরদার মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তার পিতার ভূমিকা নড়াইলবাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে। আমার প্রাপ্ত বয়সে নড়াইলের আর এক কিংবদন্তি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীন বাংলার প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য শহীদ এখলাছ উদ্দিন আহম্মেদ এর কনিষ্ঠ পুত্র বি,এম কবিরুল হক মুক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের ৩২ বছরের শান্তিময় দাম্পত্য জীবনে আমি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর এ পর্যায়ে আসার পথ সহজ ছিল না। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য থেকে আজকের এই অবস্থান। আমি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভূমিকায় অনুপ্রানিত হয়ে আমিও প্রতিটা ক্ষেত্রে ছায়ার মত আমার স্বামী ও তার দলের লোকজনকে আগলায়ে রাখার চেষ্টা করি। বাকী জীবনে স্বামীর রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখব। আামার স্বামী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহ ধন্য এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়।