ভারত সরকার বলছে, বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারে সমর্থন নেই
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে-সব অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে এসবের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো সম্পর্ক বা সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বার্তা দিতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ ইচ্ছার কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে যদি তিনি উপস্থিত থাকেন তাহলে চীনের প্রেসিডেন্টকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বার্তা দেবেন।
তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও সময় চূড়ান্ত হয়নি। হেড অফ গভর্মেন্টের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত শেষ মিনিটে দেয়।
হাসিনা-জিনপিংয়ের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আলোচনার শেষ নেই। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট সই করেছি, এমওইউ সই করেছি, প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের সই। আর প্রাইভেটে ১৩ মিলিয়ন। তার থেকে আট বছরে ৪ বিলিয়ন পেয়েছি, সেগুলো যেন ত্বরান্বিত হয়; সেটা আলোচনা হতে পারে। এটা একটা গুরত্বপূর্ণ ইস্যু।
তিনি বলেন, আমরা ঋণের সুদের হার কম চাই। এটার ওপর আলোচনা হবে। দুনিয়াব্যাপী তাদের ঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। আমরা বলব- সস্তায় বিবেচনা করলে ভালো হয়। জলবায়ু ইস্যু থাকবে, আমাদের নিয়মিত অভিবাসন থাকে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ চাই। বাণিজ্য বাড়াতে চাই।
চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অনেক ছাড় দিয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, চায়না বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আমাদের অনেক ছাড় দিয়েছে। তবুও বাণিজ্য একপেশে হয়ে গেছে। আমরা বলব বাণিজ্য আরও বাড়াও, বিনিয়োগ কর।
বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের বার্তা দিচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকা-বেইজিংয়ের সরকারপ্রধানের আলোচনায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি থাকছে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদেরও কনসার্ন। পুরো অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। আমি যেখানে যাই এটা বলি। আমি বৈঠকে থাকলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বার্তা দেব।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আবার ক্ষমতায় রাখা গেলে এ অঞ্চলের জন্য মঙ্গল হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে জরুরি। শেখ হাসিনা হচ্ছে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীকে যদি রাখা যায় পুরো অঞ্চলের জন্য, আমাদের জন্য; ভারত, নেপাল ও ভুটান প্রত্যেকের জন্য মঙ্গল হবে।
তিনি বলেন, ছোটখাটো ইস্যু নিয়ে শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমাদের বেসিক পলিসি শান্তি ও স্থিতিশীলতা। শুধু ভারতের জন্য না সারা অঞ্চলের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার।
বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের জোট ক্ষমতায় আসে বাঙালিদের বারোটা বাজবে দাবি করেন মোমেন। তার ভাষ্য, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমরা দেখেছি- সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জিহাদী। এগুলো তো প্রমোট হয়েছে। দেশটা তখন রসাতলে গেছে। আফগানিস্তানে ২৯ মিলিয়ন লোক। ওখানে জিহাদী হয়েছে। দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করেছে। এখানে ১৭০ মিলিয়ন লোক, যদি এখানেও এ রকম জিহাদী হয় সারা অঞ্চলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বাঙালিদের ১২টা বাজবে তখন। এই যে সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতেছেন, ওগুলো তখন ভুলে যাবেন। তখন আফগানিস্তানের মতো কষ্টে থাকবেন।
ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার বৈঠক হবে কি না- জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নয়া দিল্লিতে আলোচনার জন্য রাজি হয়েছেন। ওনার (মোদি) সময় নষ্ট করা ঠিক হবে কি না! তবে এখানে (ব্রিকসে) দেখা তো হবেই।
চীনের নেতৃত্বাধীন রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের পন্ডিতরা, যারা এসব নিয়ে স্টাডি করে তারা বলছেন- আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। কিন্তু আমরা এখনও আলাপ করিনি। আমরা এখনও এটাতে সম্মতি দেইনি, সই করিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে-সব অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে এসবের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো সম্পর্ক বা সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য থেকে বিরত থাকে এবং অন্যান্য দেশেরও একই ধরনের শ্রদ্ধাবোধ বাংলাদেশের প্রতি দেখানো উচিত বলে দিল্লিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
শিক্ষার সকল স্তরে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও শিক্ষায় সকল বৈষম্য নিরসন করতে জোর দাবি জানিয়েছে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ। ৭ই ডিসেম্বর সকালে পুরানা পল্টন আজাদ সেন্টারে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অন্তর্বতী কালীন সরকারের নিকট এই আহ্বান জানান।