নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স মোল্যা ট্রেডার্স ও রাইস মিলের মালিক আমিনুর রহমান মিঠুকে ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা এবং সাফা বিশুদ্ধ সরবরাহকারি মালিক মো: মোতালেবকে ৪(চার) হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানা আদায় করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নড়াইলের সহকারি পরিচালক শামীম হাসান।
ভোক্তার সহকারি পরিচালক শামীম হাসান জানান, ভোক্তা অভিযান পরিচালনাকালে ভোক্তা আইনের ৩৮ ও ৪৪ ধারায় মেসার্স মোল্যা ট্রেডার্স ও রাইস মিলের মালিক আমিনুর রহমান মিঠুকে ৩০,০০০/ হাজার টাকা এবং ভোক্তা আইনের ৩৭ ধারায় সাফা বিশুদ্ধ সরবরাহকারি মালিক মো: মোতালেবকে ৪০০০/ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকার ঘোষিত নীতিমালায় বলা হয়েছে মিল গেট থেকে উৎপাদিত চাউলের বস্তার গায়ে এমআরপি দেয়ার কথা। কিন্তু মেসার্স মোল্যা ট্রেডার্স ও রাইস মিলে উৎপাদিত চাউলের বস্তায় দেয়া হচ্ছে না। বরং অন্য মিলের বস্তায় এনে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হচ্ছে। এটা ভোক্তা আইনে ভুয়া বিজ্ঞাপনের আওতায় পড়ে। তারপর তার মিল থেকে উৎপাদিত চাউলের বস্তা প্রতি প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম কম ওজনে বস্তা বাজারজাত করা হচ্ছে। এসবই ভোক্তা আইনে অপরাধ।
নড়াইলের ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শামীম হাসান জানান, পানির নাম অপর নাম জীবন। সেই পানির দির্ঘবছর ধরে নড়াইলের মানুষকে পান করাচ্ছেন সাফা বিশুদ্ধ পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নেই বিএসটিআই-এর অনুমোদন, নেই বুয়েট ল্যাবেরও অনুমোদন। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত পানির জারে নেই এমআরপি। এসবই ভোক্তা আইনে অপরাধ।
এসময় জরিমানার টাকা তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান পুনরায় এই ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
অভিযানে উপস্থিতি ছিলেন ক্যাব নড়াইল জেলার সেক্রেটারী কাজী হাফিজুর রহমান, পুলিশেরএসআই রবিউল ইসলাম ও কনেস্টবল নূরুনব্বী।
এছাড়া নিয়মিত মনিটরিং অংশ হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করা হয় এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য হতে বিরত থাকার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য/ঔষধ বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারী করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।