খেলার শুরুর ১৫ মিনিটেই মধ্যেই জামালপুর পৌরসভা ফুটবল একাদশ গোল করে। খেলার প্রথমার্ধে ব্যারিস্টার সুমন মাঠে না নামলেও জামালপুর পৌরসভায় ফুটবল একাদশ গোল করার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ব্যারিস্টার সুমন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় ব্যারিস্টার সুমন গোল করেন। এতো খেলা সমঝোতায় ফিরে আসে। ৬০ মিনিট এই ফুটবল খেলা হয়।
এদিকে খেলা দেখতে দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামের চারপাশে দর্শকের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলা দেখতে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় দেখা যায়।
খেলা শুরু হওয়ার আগে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, জামালপুর ফুটবলের জন্য একটি বিখ্যাত জায়গা। ফুটবল খেলায় জামালপুর বিখ্যাত। স্টেডিয়াম মাঠে অনেক মানুষের সমাগম হতে দেখেছি। আমার শখ ছিল জামালপুরে খেলতে আসার। এই ইচ্ছা পূরণে সহযোগিতা করেছেন মাননীয় মেয়র ছানু ভাই। আপনাদের হারাইতে বা জামালপুর কে হারাইতে আসিনি। অথবা জামালপুর জিতুক এটির জন্য আসিনি। আমরা দুই এলাকার মানুষ হবিগঞ্জ এবং জামালপুর, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হোক এবং এই সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবলটা যদি এক ইঞ্চিও এগিয়ে যায়, তাহলে আমাদের আয়োজনটা সার্থক হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ফুটবলের ব্যাপারে প্রতিবাদ করতেছি বহু আগে থেকে। প্রতিবাদ করতে করতে আমি এখন সংসদ সদস্য, আমি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমানে কথা বলতে পারি। আমার বিশ্বাস ফুটবলের যে গণজাগরণ শুরু হয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমার যতটুকু সাধ্যের মধ্যে আছে সংসদ সদস্য হিসেবে শুধু আমার এলাকায় ফুটবলের জন্য নয়, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করব।
খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু।