শেখ রাসেল সেতু নিচ থেকে নৌকাবাইচের উদ্বোধন করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাসানুজ্জামান। নড়াইলের মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন। গ্রাম-বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ দেখতে চিত্রনদীর দুইপাড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এবার সুলতান নৌকাবাইচে যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা হলেন, টাইল নৌকায় প্রথম মো: আকরামের নৌকা, ২য় ভাই ভাই জলপরি নৌকা এবং ৩য় জয় মা কালী নৌকা, কালাই নৌকায় ১ম মা শিতলা নৌকা, ২য় আব্দুল কাদের খানের নৌকা, ৩য় নিছার এক্সপ্রেস নৌকা।
নড়াইল পুরাতন ফেরিঘাটের রাসেল সেতু হতে শুরু হয়ে মাছিমদিয়ার এস এম সুলতান সেতু পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার বাইচে অংশ নেয় কালাই নৌকা ৭টি, টালাই নৌকা ৭টি। মোট পাঁচটি টানে বাইচ শেষ হয়। প্রতিযোগিতায় কালাই এবং টালাই উভায়কেই প্রথম পুরস্কার ৬০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৪০,০০০ টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার ২০,০০০টাকা দেওয়া হয়।
এছাড়া অন্যান্য অংশগ্রহকারীদের জন্য ছিল সৌজন্য পুরস্কার ৫,০০০টাকা। অপরদিকে মহিলা প্রতিযোগিদের প্রথম স্থান অধিকারীর জন্য ১০,০০০ টাকা এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের ৫,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এদিকে, বাইচকে ঘিরে জমিদারবাড়ির বাধাঘাট, চরের ঘাট আর পঙ্কবিলা ঘাটে মেলা বসে। মেলায় নানা ধরনের নাগরদোলা, চরকি আর পসরা নিয়ে বসেছিল আগত দর্শকদের জন্য। নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধের আগমনে এ নৌকাবাইচ যেন পরিণত হয় মিলন মেলায় ।
আয়োজকরা জানান, সুলতান সব সময় গ্রামীণ বাংলার সাংস্কৃতিকে লালন পালন করতেন। আর তার সেই আজীবনের লালিত স্বপ্নকে ধরে রাখতেই প্রতিবছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।