• 22 Nov, 2025

নড়াইলে নারী ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

নড়াইলে নারী ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

নড়াইলকণ্ঠ: নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য শিউলি বেগমকে (৫৫) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে তাকে নড়াইল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গেছে।

শিউলি বেগম সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামের বাসিন্দা।

পরিবারের দাবি, সম্প্রতি নিজ বাড়ির জমির সীমানা নির্ধারণ করে বাউন্ডারি দেওয়ার উদ্যোগ নেন শিউলি। ২৬ সেপ্টেম্বর সার্ভেয়ার এনে জমি পরিমাপ করান এবং আশপাশের জমির মালিকদের উপস্থিতিতেই সীমানা চিহ্নিত করে পিলার বসানো হয়। কারো আপত্তি না থাকলেও ওই রাতেই স্থানীয় হাফিজুর রহমান শিউলিকে ফোনে হুমকি দেন।

9223.jpgপরবর্তীতে, ২৬ সেপ্টেম্বর পিলারের পাশে তারকাঁটা দিয়ে বেড়া দেওয়ার সময় হাফিজুরের নির্দেশে কয়েকজন ব্যক্তি এসে শিউলির স্বামীকে গালিগালাজ করে এবং পিলার ভাঙচুর শুরু করে।

শিউলির ছোট মেয়ে মৌসুমি খানম এ সময় ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে এক হামলাকারী তার ফোন ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। বাধা দিলে মৌসুমির গলায় থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে নিয়ে যায় তারা।

মায়ের সাহায্যে এগিয়ে এলে শিউলিকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তার পূর্বের ভাঙা হাড়ের জয়েন্ট স্থানচ্যুত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় শিউলির স্বামী মহসিন আলী নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মৌসুমি খানম বলেন,“হাফিজুর ও তার লোকজন আমাদের চাঁদা দিতে চাপ দেয় এবং হুমকি দেয়। বলেছে, তাদের অনুমতি ছাড়া জমিতে কিছুই করা যাবে না। অথচ আমরা নিজেদের জমিতে মাপ অনুযায়ী পিলার দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন,“ওরা দাবি করছে, আমরা বাউন্ডারি দিলে রাস্তা আর পাকা হবে না। অথচ আমাদের জায়গায় সরকার রাস্তা করলে আমরা ছেড়ে দেব। আসল কথা হচ্ছে, চাঁদা না দেওয়ায় তারা বাধা দিচ্ছে।”

অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান বলেন,“পিলার বসানোর আগে রাস্তার সরকারি জায়গা চিহ্নিত করা উচিত ছিল। সেটা না করে রাতারাতি পিলার বসানোর উদ্দেশ্য ঠিক না। তবে মারধর বা গহনা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। শিউলিরা আমাদের আত্মীয়, আমরা এসব করব কেন?”

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন,

“আমি এখন বাইরে আছি। অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে কি না, নিশ্চিত নই। ডিউটি অফিসার বলতে পারবেন।”