জানাগেছে, বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা কাজের জন্য বিলে যাবার সময় শয়ন শেখ (১২) এর লাশটি কাচাঁ পাটের উপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গলায় কালোদাগ রয়েছে। রশি জাতীয় কিছু দিয়ে তার গলায় পেচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এলাকা ও পরিবারের সূত্রে জানাগেছে, তার পরিবার সূত্রে জানতে পারি গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় শয়ন। গ্রামের লোকজন জানায় রাতে বাড়ির কাছে একটি চায়ের দোকানে তাকে দেখা যায়। চায়ের দোকান থেকে সন্ধ্যা ১০টা বাজে বাড়ির দিকে রওনা দিলেও ঘরে ফিরেনি শায়ন। তারপর পরিবার তাকে ওই রাতেই বহু খুঁজাখুঁজি করে না বাড়িতে ফিওে আসে পরিবারের লোকজন। সকালে আবদুল্লাহ (৪০) নামে একজন তাকে পাঠক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারকে খবর দেয়। তারা এসে দেখে পাট ক্ষেতে শায়নের নিথর মৃত দেহ পড়ে আছে।
এলাকা সূত্রে আরও জানাযায়, শায়ন দ্রারিতার কারণে শিশু বয়সেই পরিবারের দায়িত্ব তুলে নেয় শায়ন। তাই আর লেখাপড়া করা হয়নি তার। শয়ন পেশায় একজন ঘোড়ার গাড়ি চালক।
নিহতের বাবা নাজমুল শেখ বলেন, আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। নিহতের মা মিতা বেগম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল না। আমার বুকের ধনকে যারা কেড়ে নিছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
এ ঘটনার সংবাদ শুনে তাৎক্ষণি ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন। এ সময় নড়াইল সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান ঘটনা স্থানে ছুটে আসেন।
এ সময় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, এখনও খুনের সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে খুব শীঘ্রই জানতে পারবো, এর সাথে কারা জড়িত। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।