সরেজমিনে গেলে জানা যায় জোর করে সরকারি খাল ও অন্যের জমি দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষের সাথে জড়িত সকলকে মদদ দেয় কোটালীপাড়া উপজেলার কিছু প্রভাবশালী নেতা। এভাবে মাছ চাষের ফলে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি, ভেঙ্গে পড়ছে পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তার দুই ধার। ঘেরের ভিতরের ভিটা বাড়ির বড় বড় গাছপালা পড়ে যাওয়া সহ ধসে পড়ছে ভিটাবাড়ির মাটি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুশেন বিশ্বাস বলেন, এখানে আমার সাত বিঘা সম্পত্তির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওরা সরকারি খাল দখল করে খাল বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা আগে এখান থেকে মাছ ধরে খেয়েছি শাপলা উঠিয়ে খেয়েছি, এখন আমরা না খেয়ে মরার একটা ব্যবস্থা হয়েছে। আমি ওদের বিরুদ্ধে কিছু বললে ওরা আমাকে কুপিয়ে মেরে ফেলবে। আমরা আমাদের মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে এর একটা ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করছি। তা না হলে আমাদেরকে সে বলুক আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাই। ভুক্তভোগী রঞ্জন বাইন বলেন, আমরা এখান থেকে মাছ ধরে খেতাম, শাপলা উঠাইয়া খেতাম, তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবৈধ দখলদারদের কারণে না খেয়ে মরতে বসেছি। অতি দ্রুত সরকার যদি দখলদার মুক্ত না করে তাহলে আমরা যাও একটু ফসল ফলিয়ে বেঁচে আছি তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
"মাছের ঘের করা" বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হাসান এলাকাবাসীর পক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক ও গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত দরখাস্ত গত ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে প্রদান করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, আমাদের জমি কোটালীপাড়া উপজেলাধীন তারাইল গ্রামের সোনাখালী মৌজার ১৩৪, ৫১৫, ৫১২/২, ১২০৬, ৬৩৮, ১৩৫, ৮০ নং খতিয়ানের পাশাপাশি ১১ বিঘার সাথে অন্যান্য ১০০ বিঘার উপরে ঘের। আমাদের জমিগুলো একটি খালের পাড়ে হওয়ার কারণে জমি ভেঙ্গে/ধসে প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পাশে একটি মেহগনি গাছের বাগান আছে এর পাড় ধসে গাছও পড়ে গেছে। উক্ত ঘের দখলকারীরা প্রভাবশালী ও বড় সুদের ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে ভয়ে এলাকার মানুষ কথা বলে না। এরা ভূমি দখলকারী আরো অনেক অনৈতিক কাজে জড়িত। আমরা সরকারি চাকুরি করি বিধায় বাড়িতে না থাকায় উক্ত কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। উক্ত ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে তড়িত ব্যবস্থা গ্রহন করে জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে এলাকাবাসীদের প্রতি সুনজর প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করের ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।