• 05 Oct, 2025

খুলনা সেনহাটি নীতি কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক ভিটা পরিদর্শন

খুলনা সেনহাটি নীতি কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক ভিটা পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক ও ঢাকা নেভী অ্যাংকরেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক চিত্রশিল্পী দীপংকর বৈরাগী শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে খুলনায় এসে খুলনা আর্ট একাডেমি পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের সঙ্গে দীর্ঘ সময় শিল্পচর্চা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় উঠে আসে খুলনার গর্ব নীতি কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কথা।দীপংকর বৈরাগী মিলন বিশ্বাসকে বলেন“দাদা, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ছিলেন খুলনার এক স্বনামধন্য কবি। তিনি ‘নীতি কবি’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। অথচ তার বাড়ি এখনো আমাদের দেখা হয়নি।”আলোচনার টেবিলে যোগ দেন বর্ণমালা হ্যান্ডরাইটিং একাডেমির পরিচালক অক্ষরশিল্পী বাবু ধনঞ্জয় রায়। এরপর দুই শিল্পী মিলন বিশ্বাস ও ধনঞ্জয় রায়কে সঙ্গে নিয়ে ২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে  সেনহাটিতে নীতি কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের (জন্ম: ১৮৩৪, মৃত্যু: ১৩ জানুয়ারি ১৯০৭) পৈতৃক ভিটা ও ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে তারা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, অত্র অঞ্চলের প্রবীণ বাসিন্দা কাঞ্চন দত্ত এ বিষয়ে তথ্য জানাতে পারবেন। পরে তারা কাঞ্চন দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরামর্শ অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সামনে এসে তারা যোগাযোগ করেন শেখ মোহাম্মদ আলী মিন্টুর সঙ্গে (প্রাক্তন মেম্বার ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সেনহাটি, দিঘলিয়া, খুলনা)। তিনি আন্তরিকভাবে ইনস্টিটিউটে প্রবেশের সুযোগ করে দেন এবং কবি সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করেন।তবে দুঃখজনকভাবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ইনস্টিটিউট থেকে মূল্যবান বইপত্র ও দলিল লুট হওয়ায় কবির সংরক্ষিত তথ্য আজ আর প্রায় নেই। বর্তমানে সেখানে কবির একটি ছবি ও কয়েকটি আসবাবপত্র মাত্র অবশিষ্ট রয়েছে।শেখ মোহাম্মদ আলী মিন্টু জানান, শিগগিরই কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণের নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ সময় দীপংকর বৈরাগী বলেন“যদি কোনো সময় সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমরা সম্মানিত  কবির স্মৃতিরক্ষায় আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।”এই আশ্বাসে একাত্মতা প্রকাশ করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ও অক্ষরশিল্পী ধনঞ্জয় রায়। সর্বশেষ ইনস্টিটিউট পরিদর্শনের সুব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তারা শেখ মোহাম্মদ আলী মিন্টুকে ধন্যবাদ জানিয়ে খুলনায় ফিরে আসেন।