মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্ত এমপি মোস্তাফিজুরের অপরাধ আমলে নিয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় এমপি মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন দিয়েছেন। তবে মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন আসামি করা হলে তাদের বিষয়ে সাংবাদিকদের অভিযোগ সাপেক্ষে আদালত আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষযে প্রশ্ন করা হলে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ওইদিন ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগটির তদন্ত করেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। তিনি ৩ ডিসেম্বর ওইদিনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর নির্বাচন কমিশন এমপির মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়।
এমআর/এমএ