• 05 Oct, 2024

আমরা নরপিচাশ আলমগীরের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই -দু’স্ত্রী

আমরা নরপিচাশ আলমগীরের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই -দু’স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আর কোন মেয়ে যেন নরপিচাশ আলমগীরের শিকার না হয়। যারা আমার মতো স্টুডেন্ট আছো তাদেরকে বলছি আমি নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে লেখা-পড়া করি, আমাকে বিভিন্ন সময় ওই নরপিচাশের (আলমগীর) লোকজন ফোনে ডিস্টাব করে। হুমকি দেয়। আমার বাবা ইজিবাইক চালক তাকেও ডিস্টাব করে। আপনারা সকলে খেয়াল রাখবেন আমার পরিবারের প্রতি।

পাশাপাশি অভিভাবকদেরকে বলতে চাই আমার বাবা-মায়ের মতো আর কেই ভুল করবেন না। একটা কথা মনে রাখবেন, যারা সংসার করবে তাদের মত ও পছেন্দের উপর গুরুত্ব দেবেন এবং ভালোবেসে শাসন করবেন তাহলে আপনার সন্তানের জীবন ও সংসার গড়া হবে। অর্থের লোভে ভুলভাল লোকের হাতে আপনার মেয়েকে তুলে দেবেন না। নড়াইল সদরে শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে স্বামী দ্বারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিচার চাইতে আসা দুই তালাকপ্রাপ্ত নারী এ সব কথা নড়াইলকণ্ঠকে জানান।’        

নড়াইল সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের সদান্দকাঠি গ্রামের হান্নান খানের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলমগীর হোসেনের সাথে ২০০৫ সালের জুন মাসে নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের হবিবর মোল্যার ১৭ বছর বয়সের মেয়ের (৩৫) পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।  

বিয়ের কয়েকবছর পর থেকে আলমগীরের বন্ধু স্কুল শিক্ষক আশরাফ জাফরীর নানা কু পরামর্শে তার স্ত্রীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে মারাত্মক ভিতিকর আলাপচারিতার তথ্য দিয়ে নির্যাতন করে আসছিলো। এ নির্যাতনের মধ্যদিয়েও তাদের ঘরে ১টি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় আবির (১৩)। সে এখন ৮ম শ্রেণিতে লেখা-পড়া করে।

অতিসম্প্রতি ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলমগীর হোসেন তার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ১টি সন্তানসহ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অবহিত করেন। তালাকের মেয়াদ শেষ না হতে না হতেই একই উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের গড়েরঘাট গ্রামের ইজিবাইক চালক আরব আলীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তার কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে সে (আলমগীর হোসেন) পুনরায় বিয়ে করেন। বিয়ের একমাস গড়াতে না গড়াতেই উভয়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।          

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদ্বয়ের অভিযোগ বিবাহবাতিক এই আলমগীরের অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমরা শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর গ্রাম্য আদালতে বিচার চেয়ে আবেদন করেছি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রোববার (১৪ মে) বেলা ১১টায় ধার্য্য সময়ে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে গ্রাম্য আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ ও মুঠোফোনে জানায় পরিষদের চেয়ারম্যান।

নোটিশ পেয়ে আমরা হাজির হয়েছি। কিন্তু বিবাহবাতিক ওই আলমগীর হোসেন উপস্থিত হননি। চেয়ারম্যান আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। আমরা রাষ্ট্রের কাছে নরপিচাশ আলমগীর হোসেনের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবী জানাচ্ছি।  

শাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, উভয়পক্ষ হাজির না থাকায় আজ শুধু অভিযুক্তদের কথাবার্তা শুনছি। পরিষদের পক্ষ থেকে পুনরায় আমরা উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হবে। এছাড়া আমি আমার উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ইউএনওকে জানাবো। এ বিষয় আগামি শনিবার (২০ মে) পরবর্তী শুনানি গ্রহণ হবে ।  

অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে সদ্য তালাপ্রাপ্ত স্ত্রীদ্বয়ের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে তাকে মুঠোফোনে (০১৮৫৯০৭৯৭৮৪) ফোন দিলে তার মুঠোফোনটির বন্ধ অফ পাওয়া যায়।

এখন সাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে কেই এই ক্ষমতাধর আশরাফ জাফরী মোহাদেছ? খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি নড়াইল সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের সদান্দকাঠি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জাফরীর ছেলে।

তার (আশরাফ জাফরী) বিরুদ্ধে ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলমগীরের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদ্বয়ের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে তাকে মুঠোফোনে (০১৮১৮৬৩৫৮৪১) ফোন দিলে তার মুঠোফোনটির বন্ধ অফ পাওয়া যায়। 

বিস্তারিত ভিডিও কন্টেন্টে আসছে চোখ রাখুন : Facebook Page: narailkantho