এক রিট আবেদনে শুনানির পর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার (১৯ মে) এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন এসএম জহিরুল ইসলাম।গত ৩০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যশোরে গত ছয় বছরে সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদের মালিকানাধীন অন্তত ৪ হাজার ২০০টি গাছ কাটা হয়েছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। বিপুলসংখ্যক গাছ কাটা হলেও এ সময় নতুন করে একটি গাছও রোপণ করেনি জেলা পরিষদ।চার সহস্রাধিক গাছ কেটে ৮০০ হেক্টর বনভূমির সমপরিমাণ বন ধ্বংস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।গেল টানা তাপ প্রবাহের মধ্যে এই গাছকাটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এর মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।যশোর জেলা পরিষদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যশোর-নড়াইল সড়কে ৯৬১টি গাছ কাটা চলমান; যার দাম ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।এমন খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ -এইচআরপিবি’র পক্ষে গত ৫ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। প্রাথমিক শুনানির পর ৭ মে রুল দেন। সে রিটের সম্পূরক আবেদনে শুনানির পর স্থিতাবস্থা দিলেন উচ্চ আদালত।আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘যশোর-নড়াইল মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করতে সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের জন্য দরপত্রই আহ্বান করা হয়নি।তা সত্ত্বেও সড়কের দুই পাশের শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আদালত এই গাছ কাটায় স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।’ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করলে এই স্থিতাবস্থার কার্যকারিতা থাকবে না বলে জানান এই আইনজীবী। তবে দুই পাশের গাছ রেখে কিভাবে সড়কের উন্নয়ন করা যায়, সে জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হবে বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।