• 26 Apr, 2025

সুবিধাবঞ্চিত শিশুর নিয়ে সিইউসির বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

সুবিধাবঞ্চিত শিশুর নিয়ে সিইউসির বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করা সামাজিক সংগঠন 'কাম ফর আনপ্রিভিলিজড চাইল্ড (C.U.C)', সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে এক আনন্দঘন পরিবেশে। পহেলা বৈশাখের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে রঙিন র‍্যালির মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়।

আনন্দ ,র‍্যালির উদ্বোধন করেন সি ইউ সি সম্মানিত উপদেষ্টা আলহাজ্ব রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার  রুহুল আমিন হাওলাদার। র‍্যালির শুরুতেই বাংলার ঐতিহ্য মুড়ি-মুর্কি বাতাসা দিয়ে সকলকে আপ্যায়ন করা হয়।

র‍্যালি শেষে সি ইউ সি স্কুলে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । সি ইউ সি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মুজাহিদ হোসেন মিরাজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সি ইউ সি এর উপদেষ্টা শ্রম আদালত খুলনার সম্মানিত জাজ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রোটারিয়ান পিপি মোঃ ইফতেখার আলী বাবু , সি ইউ সির উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠক আলহাজ্ব রোটারিয়ান পি পি ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, সিইউসি সভাপতি জনাব মোঃ শাহিন হোসেন, সহ-সভাপতি জনাব শহিদুল্লাহ শহীদ, সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমদাদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক আরিফা ইসলাম খুকুমণি, কোষাধক্ষ্য মিম আক্তার মনিকা, দপ্তর সম্পাদক কারীমা আক্তার, কার্যকরী সদস্য ধনঞ্জয় কুমার রায়, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী জনাব মোঃ হোসাইন বাচ্চু, ব্যাংকার সোহানুর রহমান সোহান। অনুষ্ঠানের বক্তাগণ বলেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুরাও যে সমাজের অবহেলিত কোন অংশ নয় তাদেরকে নিয়েও যে আমরা খুব ভালো কিছু চিন্তা-ভাবনা করতে পারি সেটার আহ্বান রাখেন সকলকে এবং এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সিইওসি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব শেষে সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিশু ও অতিথিবৃন্দের জন্য পরিবেশন করা হয় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার—পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, বেগুন ভাজা, মরিচ ভর্তা, আলু ভর্তা ও বেগুন ভর্তার  মাধ্যমে শিশুদের কাছে তুলে ধরা হয় বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য।

চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস এবং হ্যান্ডরাইটিক শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার রায়ের ব্যবস্থাপনায় বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ সাজে সজ্জিত করা হয় সিইউসি স্কুল প্রাঙ্গণ।

সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে আরো রঙিন এবং সার্থক করে তোলেন সি ইউ সি সদস্যবৃন্দ, সিইউসি স্কুলের শিক্ষক মন্ডলী এবং  সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সি ইউ সি স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করে বাংলাদেশ ও বাঙালির ঐতিহ্য কে তুলে ধরার জন্য এমন আয়োজনে শিশুদের মুখে হাসি ফোটে, তৈরি হয় এক মানবিক বন্ধন। সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য এবং এমন আয়োজন নিয়মিত করাই তাদের অঙ্গীকার।

মানবিকতা, সংস্কৃতি ও শিশুর মুখে হাসি এই তিনে একসাথে মিলল নববর্ষ উদযাপনের আসল সৌন্দর্য। চলব মোরা একসাথে জয় করব মানবতাকে