এরই জেরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। এই শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে যেমন ষড়যন্ত্র আছে তেমনই তাদের কিছু ন্যায্য দাবিও আছে। তবে যারা উসকানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠকে শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শ্রম আইন নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে শ্রমিকদের অভিযোগ শুনে শ্রম অসন্তোষ নিরসন করা হবে। শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে শ্রম সংক্রান্ত সব ধরনের অভিযোগ জানাতে ১৬৩৫৭ নম্বরে কল দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টোল ফ্রি এ নম্বরে কল করে শ্রমিকরা অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) এবং নন-আরএমজি খাতের শ্রম অসন্তোষ পর্যালোচনায় শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উপদেষ্টা বলেন, আপাতত শ্রমিকরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তাদের দাবিগুলো যাতে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে।
তিনি জানান, আরএমজি এবং নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ ও বিদ্যমান সমস্যা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রম অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং শ্রম অধিদফতরের ট্রেড ইউনিয়ন ও সালিশির পরিচালককে সদস্য সচিব করে এ কমিটি করা হয়েছে। এতে তিন শ্রমিক নেতা, সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী এবং মালিক পক্ষের দুজন সদস্য আছেন।