চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা শেষে তাকে এই বৃত্তির জন্য মনোনীত করা হয়। আবেদনকালীন সময়ে স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় তিনি অ্যাপিয়ার্ড স্নাতকধারী শিক্ষার্থী হিসেবে এই আবেদন করেন। মনোনীত শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ার সুযোগ পাবেন।
এছাড়াও এই বৃত্তির আওতাধীন শিক্ষার্থী হিসেবে ভারতীয় সরকার তার যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসা ভাতা, বাসস্থানসহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে তাকে ২০ হাজার রুপি দেওয়া হবে। যা বাংলাদেশি টাকার হিসেবের অংকে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা মন্ডল বলেন, আমার দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়ার ইচ্ছে ছিল। এই ফলাফলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বাংলা সাহিত্যে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, নিজ ভাষা বাংলা সাহিত্যে পড়েছি বলে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারব কিনা-এ নিয়ে অনেকে ভাবেন। কিন্তু একটু অনুসন্ধান করলেই এমন বিশ্বমানের অনেক বৃত্তি রয়েছে, যেগুলোয় সহজেই বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন।
এছাড়াও এই বৃত্তি পেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আসলে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার বিকল্প নেই। দূতাবাসের বাছাইকরণ পরীক্ষায় ইংরেজির প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়। তাছাড়া মেডিকেল ফিটনেস ও পাসপোর্ট পূর্ব থেকে থাকা জরুরী।
প্রসঙ্গত,আইসিসিআর বৃত্তির মাধ্যমে ভারতের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোপুরি বিনা খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ পাওয়া যায়। এ বৃত্তির আওতায় সারাবিশ্বের ৭৩ দেশের শিক্ষার্থীরা স্নাতক পর্যায়ে ১৪০টি, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০টি এবং এমফিল বা পিএইচডিতে ২০টি আসনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট, নিজের দেশের কোনো সরকারি চিকিৎসকের স্বাক্ষরিত শারীরিক সক্ষমতার প্রশংসাপত্র, আবেদনকারীর নিজের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো দুজন শিক্ষকের সুপারিশপত্র, সম্প্রতি তোলা রঙিন ছবি, গেজেটেড অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র, একটি বৈধ ইমেইল আইডি, বৈধ মোবাইল নম্বর ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।