রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টার দিকে পাংশা উপজেলার মাছপাড়া বাজার ও সুলতান মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামসুল আলম মৃধা অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ভাই মাছপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ মৃধা মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার সিসিলও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পাংশায় যান তারা। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাছপাড়া বাজারে চেয়ারম্যান ও তার ছেলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় হিরকের দোকান ভাঙচুর করেন তারা। আহতদেরকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মাছপাড়া বাজারে আমার নেতাকর্মীদের ঠেকিয়ে বলে তোরা গালিগালাজ করলি কেন।পরে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পাল্টা হামলা চালালে তারা পিছু হটে এবং দোকান ভাঙচুর করে আমাদের দোষারোপ করছে। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় সুলতান মোড়ে দুইজনকে মারধর করে। এতে তার পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।