• 04 May, 2024

সিন্ডিকেট ধরতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম : পরিকল্পনামন্ত্রী

সিন্ডিকেট ধরতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম : পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দুনিয়াতে কারোরই বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি নেই। বাজার নিজেকে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে। তবে হ্যাঁ, কিছু অনুষঙ্গ আছে যেমন- সাপ্লাই-ডিমান্ড এগুলোর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যায়।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কেন ব্যর্থ হচ্ছে– জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, একটা উদীয়মান অর্থনীতিতে সব সময় চাহিদা ও জোগানের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। স্থিতিশীল বুড়ো অর্থনীতিগুলোর বাজারে একটা ভারসাম্য আছে। উদীয়মান অর্থনীতিতে এই গ্যাপটা থাকবে। মাঝে মাঝে গ্যাপটা যখন বেশি হয় তখন ব্যথাটা বেশি অনুভূত হয়। আমরা স্বীকার করি এই মুহূর্তে ব্যথাটা বেশি আছে। গত মাসে সামান্য কমেছে। আমার বিশ্বাস, এই মাসের শেষেও আরও সামান্য কমবে।

বাজারে সিন্ডিকেটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ধরা যায় না, এরাও অধরা থাকে। তবে তারা বাজারের ভেতরেই থাকতে পারে। সিন্ডিকেট হয়, সিন্ডিকেট ভাঙে। এরপর নতুন সিন্ডিকেট হয়। সিন্ডিকেট যদি দেখতে পারতাম বা ধরতে পারতাম তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। আমাদের মতো উদীয়মান অর্থনীতিতে এ ধরনের কিছু বিকৃতি থাকবেই। তারা লাভের বা মুনাফার সুযোগটা নেবেই।

 

সাংবাদিকরা শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুললে পরিকল্পনন্ত্রী বলেন, আমি আবার শুনলাম আইএমএফ তাদের টাকা দেবে না। শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, তাই তুলনা করে লাভ নেই। গত দুই বছর আগেও তো অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, সেটা এতা হয়নি। আমরা চাই শ্রীলঙ্কা ভালো করুক। আমরা ভালো করতে পারব। এ ধরনের তুলনা অনেক সময় মানুষ ভুলভাবে নেয়।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আমাদের অর্থনীতির দশভাগের এক ভাগও না। আবার শ্রীলঙ্কার অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো আমাদের চেয়ে বেটার। যেমন সাক্ষরতার হার।  তুলনা করে লাভ নেই। শ্রীলঙ্কা যদি ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে ভালোই। আমরাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। ভয়ের বা সংকটের কোনো বিষয় নেই বলে আমি মনে করি।

এম এ মান্নান বলেন, আমরা ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করি। এক কোটি মানুষকে কার্ড দিয়ে সহায়তা করছি। এগুলো না করলে আমার ধারণা মুদ্রাস্ফীতি এখন ৮ দেখছেন, সেটা তখন ১২ হয়ে যেত। সরকার নানাভাবে শুল্ক মওকুফ করে দরিদ্র মানুষকে আরেকটু সহায়তা দিয়ে এটি প্রশমিত করার চেষ্টা করছে।