মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালুখালি ধাড়িয়াঘাটা মাগুরা মাধ্যমিকবিদ্যালয়ের(কেডিএম) অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন, মোবাইল ফোনের কুফল ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অভিভাবক সমাবেশ’ এসব উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহন কুমার দাস।এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ছাত্র-ছাত্রীদের শাসন করার মতো কোন পরিবেশ নেই, শাসন করতে গেলেই অভিভাবকরা তেড়ে আসেন শিক্ষকদের ওপর। টিফিন পিরিয়ডে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে বাইরে না যেতে সে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন এ স্কুলকে ‘সততা স্টোর’ চালু করতে আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছে।শিক্ষার্থীদের জন্য টিফিন করার মতো বিভিন্ন ফাস্টফুড, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সমন্বয়ে এ সততা স্টোর চালু রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মোবাইল ফোনের কুফল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের অবহিত করা হয়েছে এবং মোবাইল সংগে নিয়ে স্কুলে না আসতে ছাত্র-ছাত্রী নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মটরসাইকেল নিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে আনতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।অনেক মেয়েরা ব্যাগের মধ্যে স্কুল পোষাক বাদে অন্য পোষাক আনতে দেখেছি আমরা।এ বিষয়গুলি অভিভাবক হিসেবে আপনারা আপনাদের কমলমতি ছেলে-মেয়েদের বুঝিয়ে বলবেন।আর আমাদেরও যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকে সেদিকগুলি এখানে তুলে ধরবেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষকদের জানাবেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাগরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান।তিনি ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন, মোবাইল ফোনের কুফল ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অভিভাবকবৃন্দকে দিকনির্দশনামূলক বক্তব্য দেন।
এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার জন্য অভিভাকদের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, প্রথমত: আপনার সন্তান স্কুলে ঠিক ঠিক পৌঁছলো কিনা সে জন্য স্কুল শিক্ষককে একটা ফোন দিবেন, দ্বিতীয়ত: বাসা-বাড়িতে আপনার সন্তান পড়ার সময় আশে-পাশে থাকার চেষ্টা করবেন, তৃতীয়ত: স্কুলে রওনার সময় কৌশলে ব্যাগটা চেক করুন এবং ধর্মীয় অনুশীলনের জন্য চেষ্টা করুন।
শিক্ষার মানোন্নয়ন, মোবাইল ফোনের কুফল ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অভিভাবকরা বলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিবিড় ভালোবাসার অভাব রয়েছে। ক্লাসে শিক্ষকের উচিত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে সমান চোখে দেখা।স্কুলে নির্ধারিত ইংরেজি শিক্ষক নেই। যার ফলে ছেলে-মেয়েদে অসুবিধা হচ্ছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা বিকাশ কুসুম চক্রবর্তী, বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সদস্য হামিদুল হক, সহকারি শিক্ষক আবু সেলিম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ।