• 03 May, 2024

শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন, কর্মবিরতির ঘোষণা!

শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন, কর্মবিরতির ঘোষণা!

ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যাসমূহ সমাধানের দাবীতে সারাদেশের ন্যায় নড়াইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্রুত শিক্ষকদের দাবী পূরণ না হলে আগামী ২ অক্টোবর সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি এবং ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা ৩ দিনের কর্মবিরতির ঘোষনা দিয়েছে সংবাদ সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নড়াইল প্রেসক্লাবে ১১টার দিকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি নড়াইল জেলা কমিটির উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে উদ্দেশ্য এবং বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবীসমূহ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন দীর্ঘবছর ধরে শিক্ষা ক্যাডারের দাবী সমূহ বাস্তবায়নের তেমন কোন জটিলতা না থাকলেও আমলাতান্ত্রিক ধীর গতিতে ফাইল মুভ করার প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবী আজও বাস্তবায়ন হয়নি। আইন , সংবিধান কোথায়ও এমন দৌতনীতির কথা নেই। অথচ শিক্ষকদের পদে পদে অসম্মানিত করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেয়ালে পিট ঠেকে গেলে আজকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ঘোষিত কর্মসূচি থেকে আরও কঠিনতম কর্মসূচিতে নামতে বাধ্য হবো। এটা আমাদের সম্মানের বিষয়।    

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নড়াইল জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম আরিফুল হক।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হলেও দীর্ঘ বছরেও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি, বরং আরো সংকুচিত করা হয়েছে। শিক্ষায় জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে উপজেলা, জেলা, অঞ্চলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতর, অধিদফতর ও প্রকল্পসমূহ পরিচালনায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি যোগ্য ৭ হাজার কর্মকর্তার পদোন্নতি প্রদান, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজন, অধ্যাপক পদটি ৩য় গ্রেডে উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় পদ সৃষ্টি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত জেলা ও উপজেলা শিক্ষাপ্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার রূপান্তরের অন্যতম কারিগর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ। তাঁরাই প্রণয়ন করেছেন নতুন শিক্ষাক্র বাস্তবায়নেও তাঁরাই অন্যতম শক্তি। শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ কথা স্মার্ট বাংলাদেশের তা পুরণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোন কারণ ছাড়াই পদোন্নতি বন্ধ আছে দুই বছর। এই মুহুর্তে শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য ২০০ যোগ অধ্যাপক পদেপ্রতি দোর ৩০০০ জন সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৩০০০ জন। এই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সরকারের কোন অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন নেই। সবাই পদোন্নতিযোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছেন। ক্যাডার সার্ভিসে শুনা না থাকলে জেতি দেয়া যাবে না এমন কোন বিধান নেই। অথচ, কাতারকে শূন্য গানের অনুহাতে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল ক্যাহারের জন্য সুধার নিউমারারি পদে পদোন্নতি নিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা নিলেও তা পালিত হয়নি। নেত্রী শেখ হাসিনা ব নিম্নমানের নির্দেশ নিয়েছেন বারবার। কিছু সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।

এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের অপসারণ ও শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগ বিধি বাতিলের দাবি জানান। এ সময় শতাধিক শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।