এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে জেলা শহরের টার্মিনাল মসজিদের সামনে থেকে নড়াইলের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নড়াইল প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম অগ্রজ সৈনিক মো: হাসিবুর রহমান, রিফায়েতুল ইসলাম তমাল, লামিয়া সুলতানা, আ: রহমান মেহেদী, শাফায়েত সোহেন, কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু,তুহিন বিন আব্দুর রাজ্জাক,শাহরিয়ার আহম্মেদ সহ প্রমুখ।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। যদি তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হয়। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন কয়েকজন বলেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদে থাকুক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’ এ বক্তব্যেও পর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ` Step Down Chuppu' ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘চুপ্পু হটাও, দেশ বাঁচাও’, ‘চুপ্পু তুই সরে যা, ধেয়ে আসছে জনতা’, ‘দফা এক দাবি এক, চুপ্পুর পদত্যাগ’-সহ বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন করতে এবং শ্লোগান দিতে শোনা যায়।