• 20 Apr, 2024

‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’র ওপর নড়াইলে বিএনপি’র আলোচনা

‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’র ওপর নড়াইলে বিএনপি’র আলোচনা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’র ওপর নড়াইলে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নড়াইলকণ্ঠ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ওপর নড়াইলে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার০৬ জানুয়ারিসাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের শহরের বাড়ির ভেতরের করিডোরে জেলা বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রয়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম এমিপ পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

 সময় তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান রেখে বলেনআগামি ১১ জানুয়ারী খুলনা বিভাগায়ী পর্যায় বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সফল করতে  জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’’ ওপর ব্যাপক প্রচারনা চালিয়ে জনমত তৈরী করতে হবে।শুধু দলীয় কর্মীপর্যায় না বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের মধ্যে বিএনপি ঘোষিত রূপরেখা ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রয়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম এমিপ পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেনআমরা হিংসার বিরুদ্ধে ভালোবাসর রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।সকলকে স্থানীয় কোন্দল ভুলে গিয়ে দলের স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে।আগামী নির্বাচনে তত্বাবধায়ক  নিরেপক্ষ সরকারের অধিনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি সংখ্যাঘরিষ্টতা পেলে সকল শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরকার গঠন করবে বলে তিনি বলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামজেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজমজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভী জর্জজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ ফসিয়ার রহমানজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খন্দকার মঞ্জুরুল সাঈদবাবুজেলা কৃষক দলের আহবায়ক নবির হোসেনসহ বিএনপি  এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

বিগত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে নড়াইল শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান পলাশ হামলার শিকার হয়।আলোচনা শেষে আহত ওই নেতাকে নড়াইল শহরের বাসায় দেখতে যান অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।সেখানে তিনি পরিবারের সাথে কথা বলেন।এরপর তিনি নড়াইল শহরে জেলা পরিষদ মসজিদে নামাজ আদতায় করেন এবং মুসল্লিদেও সাথে কুলাকুলি করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’’ ২৭টি দফা রয়েছে।  ২৭টি দফার বিশেষ কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:

বাংলাদেশের অন মানবিক মর্যাদাসামাজিক বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এক সাগর রতের বিনিময়ে মান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে তুলেছিলসেই রাষ্ট্রের মালিকানা মাছ তাদের হাতে নেই।বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলেছে।এই রকমের পুনর্গঠন করতে হবে।দেশের জনগণের হাতের দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধসুষ্ঠুনিরপেক্ষগ্রহণযোগ্য  অংক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর আন্দোলনে আগ্রহ একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমতের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।উক্ত জাতীয় সরকার নিম্নলিখিত রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

বিগত এক দশকের অধিক কাপ কুক্ষিগত করে রাখার হীন উদ্দেশ্যে অনেক অযৌক্তিক মৌলিক সাংবিধানিক সংশোধনী এনেছে।একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে সকল বিতর্কিত  অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী  পরিবর্তনসমূহপর্যালোচনা করে এইসব রহিত/সংশোধন করা হবে এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাংবিধানিক সংস্কার করা হবে।সংবিধানে গণভোট (referendum) ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

প্রতিহিংসা  প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সকল মত  পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলকবৈষম্যহীন  সম্প্রীতিমূলক জধরহনড়ি ঘধঃরড়হ প্রতিষ্ঠা করা হবে।এই জন্য অব্যাহত আলোচনামতবিনিময়  পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে (Social Contract) পৌঁছাতে হবে। এই জন্য একটি National Reconciliation Commission গঠন করা হবে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র  ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক  প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতিসরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য (Checks and Balances) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগআইন বিভাগ  বিচারবিভাগের ক্ষমতাদায়িত্ব  কর্তব্যের সুসমন্বয় করাহবে।

পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি  প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদপেশাজীবীরাষ্ট্রবিজ্ঞানীসমাজবিজ্ঞানী  প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা (Upper House of the Legislature) প্রবর্তন করা হবে।