আওয়ামীলীগের দোসর জাকির মুন্সি মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফাহিম জমাদার (১৮) নামে এক তরুণকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নওপাড়া ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
স্টাফ রিপোর্টার : এলজিইডি’র সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মিজানুর রহমানের স্ত্রী কাজী বনানী রহমানের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত মোট ৫৫ (পঞ্চান্ন) টি জমিজমার দলিলের ১০ কোটি ৬৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৮৬/- টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকবদ্ধ করা হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি'২৫ নড়াইল বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আসামী কাজী বনানী রহমান নড়াইল সদর উপজেলার শোলপুর গ্রামের এলজিইডি’র সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তিনি বর্তমান ঢাকা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ০২ রোডের ২৮ নং বাড়িতে বসবাস করছেন।
মামলার বিবরণ উল্লেখ করা হয়, আসামী (২) তার স্বামী কাজী মিজানুর রহমান এর সাথে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১৭,৩৩,৬৬,৬১৮/- (সতেরো কোটি তেত্রিশ লক্ষ ছেষট্টি হাজার ছয়শত আঠার) টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোরে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং অত্র কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক তাওহিদুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। আসামী কাজী বনানী রহমানের নামে মোট ৫৫ (পঞ্চান্ন) টি দলিলের সন্ধান পাওয়া যায় যার মূল্য ১০,৬৪,৮৬,৬৮৬/- টাকা।
উল্লেখ্য বর্ণিত সম্পত্তি সমূহ মামলার ২ নং আসামী কাজী মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, খুলনা বিভাগ, খুলনা) ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দ্বারা তার স্ত্রী ও অত্র মামলার ১ নং আসামি কাজী বনানী রহমানের নামে ক্রয় করেছেন। আসামী কাজী বনানী রহমান বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন মর্মে জানা যায়। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিগত ২৮/০১/২০২৫ খ্রি. তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত নড়াইল স্বাক্ষরিত একটি আদেশের মাধ্যমে আসামী কাজী বনানী রহমানের নামে মোট ৫৫ (পঞ্চান্ন) টি দলিলের ১০,৬৪,৮৬,৬৮৬/- টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকবদ্ধ করা হয়।
এখানে আর উল্লেখ্য, গত বছর ০৪ জুন বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত নড়াইলের অধিক্ষেত্রাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর (নড়াইল) এর তদন্তের মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অনুঃ ও তদন্ত-১), মোঃ আলিয়াজ হোসেন। মামলা নং-০৪। আসামি (১) কাজী বনানী রহমান ও তার স্বামী (২) কাজী মিজানুর রহমান, উভয়ের স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম-শোলপুর, ডাকঘর-সিংগাশোলপুর, উপজেলা-নড়াইল সদর, জেলা-নড়াইল দ্বয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা একে অপরের সহায়তায় আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১৭,৩৩,৬৬,৬১৮/- (সতেরো কোটি তেত্রিশ লক্ষ ছেষট্টি হাজার ছয়শত আঠারো) টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অধিকতর তদন্তের জন্য এ মামলা করা হয়।
আসামি কাজী মিজানুর রহমান বিগত ০৪/১১/১৯৮৯ খ্রিঃ তারিখে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে তিনি "তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী" ও প্রকল্প পরিচালক গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) খুলনা হতে পিআরএল গমন করেন। চাকরিকালীন অবৈধ ও অসদুপায়ে উপার্জিত আয় দ্বারা তার স্ত্রী কাজী বনানী রহমানের নামে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের বিষয়টি দুদকের প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়।
দুদকের যাচাই/অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রে (গত ০২/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে) যা উঠে এসেছে তা হলো:- আসামি (১) কাজী বনানী রহমান গত ০৬/০৩/১৯৯৭ হতে ০২/০২/২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত নিজ নামে মোট ৪০,৪৪,১০,৪১৫/- টাকার স্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেছেন।
এক্ষেত্রে তিনি মোট ৫৯টি দলিলমূলে জমি ও স্থাপনা ক্রয় এবং নতুন স্থাপনা নির্মাণসহ ০২/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত মোট (৫,৭৩,৩০,৫০০ + ৪,৭০,৭৯,৯১৫) = ১০,৪৪,১০,৪১৫/- টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
অর্থাৎ আসামি কাজী বনানী রহমান গত ০২/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুযায়ী তার ১০,৪৪,১০,৪১৫/- টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ৯,৩৬,৯৪,৭৬৭/- টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট (১০,৪৪,১০,৪১৫ + ১,৩৬,৯৬,৭৯৭) = ১৯,৮১,০৫ ১৮২/- টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন। সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় তিনি কোন ঋণ/দায়-দেনা প্রদর্শন করেননি। ঋণ/দায়-দেনা না থাকায় তার নামে নীট ১৯,৮১,০৫,১৮২/- টাকা মূলোর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
তবে তিনি তার আয়ের গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। তার মোট অগ্রহণযোগ্য আয় ৯,৩৫,৭১,৭৫৬/- টাকা। অগ্রহণযোগ্য আয় বাদে তার মোট (১১,৮৩,১০,৩২০-৯,৩৫,৭১,৭৫৬) = ২,৪৭,৩৮,৫৬৪/- টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে তার অর্জিত নীট সম্পদের মূল্য ১৯,৮১,০৫,১৮২/- টাকা। আসামি কর্তৃক অবশিষ্ট ১৯,৮১,০৫,১৮২ টাকা। আসামী কর্তৃক অবশিষ্ট (১৯, ৮১,০৫, ১৮২-২,৪৭,৩৮,৫৬৪)=১৭,০৩,৬৬,৬১৮/- টাকা মূল্যের সম্পদের বিপরীতে বৈধ আয়ের উৎস সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র যাচাই/অনুসন্ধানকালে সরবরাহ করতে পারেননি। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র মোতাবেক আসামি কাজী বনানী রহমান একজন গৃহিনী ও স্বামীর উপর নির্ভশীল। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এদিকে এলজিইডি’র সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মিজানুর রহমান বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১৭,৩৩,৬৬,৬১৮/- (সতেরো কোটি তেত্রিশ লক্ষ জিষটি হাজার ছয়শত আঠারো) টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি (১) কাজী বনানী রহমান (বয়স-৫০ বছর), স্বামী: কাজী মিজানুর রহমান ও (২) কাজী মিজানুর রহমান (বয়স-৬০ বছর), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে পিআরএল ভোগরত), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), খুলনা বিভাগ, খুলনা, পিতা: মৃত কাজী কেনায়েত হোসেন, উভয়ের স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম। শালপুর, ডাকঘর: সিংগা শোলপুর, উপজেলা: নড়াইল সদর, জেলা: নড়াইল পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১৭,৩৩,৬৬,৬১৮/- (সতেরো কোটি তেত্রিশ লক্ষ ষেষট্টি হাজার ছয়শত আঠারো) টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) প্রারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফাহিম জমাদার (১৮) নামে এক তরুণকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নওপাড়া ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। এ সময় জেল গেটে নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তারা।
দিনাজপুরে সরকারি ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) পণ্যের বস্তা বদল করে বাজারে বিক্রির জন্য প্রক্রিয়াজাত করার সময় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৫৪০ কেজি চাল ও ৯৫০ কেজি আটা জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।