ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য এই অভাবনীয় সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ৫০টি দেশের ২৩০০ জন প্রভাবশালী ইনভেস্টর। তারা এখানে আসছেন কেবল একটি দেশ দেখতে নয়—একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে ছুঁয়ে দেখতে।
বাংলাদেশ—এক নতুন পরিচয়ের খোঁজে
যেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিচয় নির্ধারিত হয় চাহিদার ভিত্তিতে, সেখানে বাংলাদেশ এখন নিজেকে তুলে ধরছে সম্ভাবনার নতুন এক মডেল হিসেবে। বৈশ্বিক টেক জায়ান্টদের নজর এখন আমাদের দিকেই। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো—এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক। এমন সুযোগ বা ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে বিরল।
বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের আগমনের অর্থ হচ্ছে—নতুন কর্মক্ষেত্র, নতুন উদ্যোগ এবং নতুন এক অর্থনৈতিক বাস্তবতা।
আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সময় এখনই
বিশ্ব দ্রুত এগোচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (4IR) পেরিয়ে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের (5IR) দিকে। এই সময় নিজেকে প্রস্তুত করার, প্রয়োজনীয় স্কিল অর্জনের এবং প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সঠিক সময়।
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, অটোমেশন, এআই, ব্লকচেইন, সাসটেইনেবল ইনোভেশন—এই বিষয়গুলো এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং বেঁচে থাকার ভাষা।
আসিয়ান সদস্যপদ এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
বাংলাদেশ হয়তো খুব শিগগিরই আসিয়ান (ASEAN) দেশগুলোর একজন সদস্য হতে যাচ্ছে। এটি কেবল কূটনৈতিক অগ্রগতি নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমাদের অবস্থানকে করবে বহুগুণ শক্তিশালী। বিদেশি দূতাবাস, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, বৈশ্বিক সংযোগ—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের এক সম্ভাবনাময় হাব।
সম্মান ও কৃতজ্ঞতা: প্রফেসর ইউনুস
এই ঐতিহাসিক আয়োজনের নেপথ্যের রূপকার প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস। তার সাহস, দূরদর্শিতা এবং মানবিক নেতৃত্ব না থাকলে এমন এক অধ্যায়ের জন্ম হতো না। ব্যক্তিগতভাবে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার প্রতি জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা।
বাংলাদেশের নতুন যাত্রার এই মুহূর্তে, সময় এখন আমাদের। নিজের দক্ষতাকে আগামীর পাসপোর্টে রূপান্তর করুন। কারণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে আপনাকেই।