চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হতে পারে
চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যেকোনো সময় বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ অগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল ৫ অগস্ট পালিত হবে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ১৬ জুলাই হবে ‘আবু সাঈদ দিবস’ সিদ্ধান্ত বদলের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানায়নি সরকার তরুণ রাজনীতিকদের প্রতিবাদে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর ৮ অগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক দানা বাঁধে। অবশেষে প্রবল চাপের মুখে সরকার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে স্পষ্ট হলো, জনগণের মত ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বিবেচনায় না নিলে সিদ্ধান্ত কার্যকর রাখা সম্ভব নয়—even একটি জাতীয় দিবসের ক্ষেত্রেও।
২০২৪ সালের ৮ অগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তিতে দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয় সরকার। এই ঘোষণা দেওয়া হয় চলতি বছরের গত বুধবার এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-র শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা—সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং আখতার হোসেন—এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সরব হন।
তাদের যুক্তি ছিল, দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মূল মাইলফলক হচ্ছে ৫ অগস্ট, যেদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকার পতন ঘটে। সেই কারণেই ৫ অগস্টকেই ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’ এবং ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করা উচিত বলে মত দেন তাঁরা।
সারজিস আলম সামাজিক মাধ্যমে লেখেন,
“৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।”
অন্যদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,
“৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।”
এই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং সামাজিক অস্বস্তির জেরে অবশেষে রবিবার (২৯ জুন) সরকার তাদের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ৮ অগস্ট আর কোনও বিশেষ দিবস হিসেবে পালিত হবে না। তবে পূর্বঘোষিত ৫ অগস্টকে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবেই পালন করা হবে এবং ১৬ জুলাইকে ‘আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে—এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই আন্দোলন চলাকালে পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে নিহত হন ছাত্রনেতা আবু সাঈদ। তার স্মরণে এ দিনটিকে সরকার ‘আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে সরকার কেন হঠাৎ করে ৮ অগস্টকে বিশেষ দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিল, সেই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি ইউনূস প্রশাসন।
চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যেকোনো সময় বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে জনসম্মুখে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এক অন্তর্বর্তী সময় অতিক্রম করছে। ১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতা ও মাতৃভাষার অধিকার আজও অনেকাংশে সাধারণ নাগরিকদের জীবনে প্রতিফলিত হয়নি। বরং,ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়-প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় যাওয়ার আগে গণমুখী কথা বললেও, ক্ষমতা পেলে তাদের অবস্থান পাল্টে গেছে। সদ্য গঠিত এনসিপি একটি নতুন সম্ভাবনা হলেও জনগণের মনে প্রশ্ন-এই দল কি হবে ব্যতিক্রম?নাকি আবারও এক পুরনো নাটকের নতুন দৃশ্য?