বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তা নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই জয় বণিক (৩১)। এ ঘটনায় অন্যান্য গুলিবিদ্ধরা হলেন- আলিপুর গ্রামের কামাল মনার ছেলে দাউদ মনা (৪০), আজহার মিয়ার ছেলে সাইফুল (১৯), খলিল মিয়ার ছেলে ফারুক আহমেদ (৪৫), আবুল মিয়ার স্ত্রী জামিনা বেগম (৭০) ও রওশন আলীর ছেলে ফরহাত (৩০)। অন্য আহতরা হলেন- একই এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫), মজিবুর রহমানের ছেলে হাফেজ মহিউদ্দিন (৪৫), সেলিনা (৪২) ও মৃত জমশের আলীর ছেলে আবু মিয়া (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলিপুর অঞ্চলের ইসমাইল কোম্পানি এবং শাহজাহান মনা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই আধিপত্যের জের বাড়তে থাকলে বুধবার সকাল থেকেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুপুরে পুনরায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের এসআইসহ জয় বণিক এবং দুই গ্রুপের আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে গুলিবিদ্ধরা গ্রেপ্তারি ঝামেলা এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
সদর মডেল থানা পুলিশের আহত এসআই জয় বণিক বলেন, গ্রামের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ইসমাইল কোম্পানি ও শাহজাহান মনা গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মাঝে আজ একটি বড় ধরনের মারামারি ঘটনা ঘটতে পারে এমন খবর পেয়ে আমরা অলিপুর গ্রামে যাই। তখনই দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি এবং একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। ওই সময় এক পক্ষের গুলি এসে আমার হাতে লাগে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য আমি নরসিংদী সদর হাসপাতালে যাই।
নরসিংদী সদর থানা পুলিশের ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত শেষে সবকিছু জানানো হবে।