গত রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী বি এম ইকরামুজ্জামান পান্নু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক পরিচয়ে গত ৭ই মার্চ ২০২৪ ইং সকাল ১১টার দিকে বাদীর ক্লিনিকে উপস্থিত হন বাবর আলী। এ সময় ক্লিনিকে ভর্তি থাকা রুগীদের ছবি তোলে এবং বাদীর স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কথা বলে বাদীকে, বাদীর ও সাক্ষীদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িত করার ভয় দেখিয়ে বাদীর স্ত্রী থেকে আশি হাজার টাকা দাবী করেন বাবর আলী।
বাদীর স্ত্রীর কাছে টাকা না থাকায় আসামীরা বাদীর স্ত্রীকে মারপিট করার ভয় দেখায় বাদীর স্ত্রী তাদের ক্লিনিক এবং নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য আশেপাশের দোকান থেকে চেয়ে আসামীর হাতে তৎক্ষণাৎ ২০ হাজার টাকা দিয়ে মারপিটের হাত থেকে রক্ষা পায়।
উক্ত ২০ হাজার টাকা নিয়ে ১ নং আসামী তার দলীয় লোকজন নিয়ে বাদীর স্ত্রীকে হুমকি দেয় যে, তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা না দিলে বা ঘটনার বিষয় কাউকে বললে বা ঘটনার বিষয় মামলা করলে বাদীর স্ত্রীকে, বাদীকে এবং তার লোকজনদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও জব্দ করবে বলেও হুমকি দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গত ১৯ মার্চ কালিয়ার ইলিয়াচাবাদ ইউনিয়নের চন্ডিনগর গ্রামে চাঁদা দাবী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে এই কথিত সাংবাদিক বাবর আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসি।
খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, এর আগে গত ১২ মার্চ ভুক্তভোগিরা কথিত এই বাবর আলী সাংবাদিকের হয়রানি ও চাঁদাবাজির হুমকিতে ক্ষুব্ধ হয়ে নড়াইল পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। যার অনুলিপি মহাপুলিশ পরিদর্শক কার্যালয় ঢাকা , উপমহাপুলিশ পরিদর্শক খুলনা, নড়াইল জেলা প্রশাসক ও কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করেন ভুক্তভোগিরা।
এই কথিত সাংবাদিকের খুঁটির জোর কোথায় সেটা দ্রুতই খুঁজে বের করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটি দাবী এলাকাবাসির।