অপরদিকে শাহাদাৎ শেখ সমর্থিত লোকজন শাহাবুদ্দিন মোল্যার স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪২) কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে আনলে শাহাদাৎ সর্মথিত লোকজন হাসপাতালে ওই মহিলাকে আবার ও মারধর করে। ওই মহিলা লোহাগড়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
সোমবার উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কোলা গ্রামে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার ও আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোলা গ্রামের মাহাবুর শেখ ও হিমা খাঁ সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের শাহাদত শেখ সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ সংঘাত চলে আসছিল।
এর জের ধরে ঈদের পরের দিন গত রোববার (২৩ এপ্রিল) বিবাদমান ওই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে । এ ঘটনার পর ওইদিন সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানা পুলিশের নির্দেশনায় বিবাদমান দুটি পক্ষ দ্বন্দ সংঘাতে লিপ্ত হবে না
মর্মে পুলিশের নিকট মুচলেকা প্রদান করে।
পরে সোমবার দুপুরে ওই গ্রামের মৃত সিরু শেখের ছেলে মাহাবুর শেখেরনেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, লাঠিসোঠা, লোহার রড, ক্ষুর, চাকু নিয়ে প্রতিপক্ষের শেখ সাজ্জাদ (২৭) এর উপর হামলা চালিয়ে তাকে
এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখন করে।
পরে এলাকাবাসী আহত সাজ্জাদকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই গ্রামের মৃত সিরু শেখের ছেলে ইসরাফিল শেখ (৪৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে
রয়েছে এবং ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।