সোমবার(১৪ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মোঃ হেদায়েত শেষ নড়াইলের লোহাগড়া থানার পদ্মবিলা গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন মোঃ খলিল শেখ ও আঙ্গুয়ারা বেগম।রায়ের সময় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মোঃ হেদায়েত শেখ পলাতক ছিলেন।।জেলা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট নূর মোহাম্মাদ মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার বিবরনে জানা যায়, মামলার বাদী ১ম স্ত্রী মমতাজ বেগমের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার ৫/৬ বছর আগে ১ম স্ত্রী মমতাজ বেগম থাকা সত্ত্বেও হেদায়েত শেষ আড়ুয়ারা বেগম নামের একজনকে ২য় বিবাহ করেন। বিহারের
পর থেকে ২য় স্ত্রী আঙুয়ারা ১ম স্ত্রীকে খুন করে গুম করবে মর্মে হুমকি প্রদান করে আসছিল।এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে রাত ৮টার সময় বাদী সহ তার মাত্রা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে বাদী তার মাতাকে দেখতে না গোলাগুলি করতে থাকে।এসময় বাদী তার পিতা হেদায়েতের লুঙ্গিতে বাক্ত দেখে কারন জানতে চাই।তার পিতা বলে সকালে তিনি একটি গরু জবাই করেছে।এ বলে হেদায়েত শেষ ও তার ২য় স্ত্রী আগুয়ারা বেগম পালিয়ে যায়।পরে বাদীসহ তার আত্মীয় স্বজনরা পদবিলা বিলের মধ্যে আসাদুজ্জামানের জমির মধ্যে মমতাজ বেগমের মৃত দেহ পাই। মৃত দেহের গলা কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রেও আঘাত ছিল।এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নিহতের স্বামী মোঃ হেদায়েত শেখ মোঃ খলিল শেষ ও আগুয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।আদালতে ১৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে স্বামী মোঃ হেদায়েত শেখের ি আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।অপর ২ জন আসামীকে খালাস প্রদানের আদেশ দেন বিচারক।