মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির বারান্দায় কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় নুসরাতের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে পরিবারের লোকজন খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের দাদী পান্না বেগম বলেন, তিন বছর আগে নুসরাতের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। পরে জোবায়দাকে বিয়ে করে সজীব। বিয়ের পর থেকে নুসরাতকে ভালো চোখে দেখে না সৎ মা জোবায়দা। এ নিয়ে সজীবের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো জোবায়দার।
মৃত নুসরাতের ফুফু লাবনি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই সজীবের দ্বিতীয় স্ত্রী জোবায়দা আমার ভাতিজিকে দেখতে পারতো না। নুসরাতকে জোবায়দা গলাটিপে মেরে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ মা জোবায়দাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশু নুসরাতের গলায় আংগুলের ছাপ দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।