সৈয়দ সম্রাট আলী : হত্যা মামলা ছাড়াও সে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া সে লোহাগড়া ও নড়াইল সদর থানার চুরি মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীর শেখ হেদায়েত আঞ্জুয়ারা বেগম নামে এক মহিলাকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দ্বিতীয় বিবাহের পর থেকেই মূলত পারিবারিক কলহের সৃষ্টি। ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে জাহাঙ্গীর শেখ হেদায়েত এর ছেলে রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে সকালে উঠে বাদী রবিউল ইসলাম তার মাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে।
এ সময় সে তার বাবার লুঙ্গিতে রক্ত দেখে কারণ জানতে চাইলে গরু জবাই করেছে বলে জানায় তার বাবা। রবিউল ও তার স্বজনেরা খোঁজাখুজি করে পদ্মবিলে মমতাজের গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পায়৷ সেই থেকে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল জাহাঙ্গীর। সাজা থেকে বাচঁতে খুলনার ডুমুরিয়ায় নতুন সংসার বেঁধে আত্মগোপন করেছিল সে, শ্বশুর বাড়িতে থেকে করতো ফল ব্যবসা, আর সুযোগ পেলেই চুরি।
নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) জনাব মোঃ দোলন মিয়ার তত্ত্বাবধানে নড়াইল সদর ও লোহাগড়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নড়াইল সদর থানাধীন মালিবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে