নিখোঁজ শিশুর বাবা মো.শফিকুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে ও আমি সকালে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করে। পরে আমি ওকে উঠানে রেখে কিছুক্ষণের জন্য বাজারে যাই। ওর মা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকায় মেয়ের দিকে খেয়াল রাখতে পারেনি, বাজার থেকে ফিরে এসে দেখি আমার মেয়ে জুবাইদা আর বাড়িতে নেই, আমার বাড়ির পাশের নবগঙ্গা নদীর তীরে গিয়ে মেয়ের স্যান্ডেল দেখতে পাই। তারপর আমার কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে প্রাথমিকভাবে নবগঙ্গা নদীতে উদ্ধার কাজ চালায়, তবে খোঁজ না পাওয়ায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস লোহাগড়া স্টেশনে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে স্থানীয়দের সাথে প্রাথমিক উদ্ধার কাজ চালায়। একপর্যায়ে খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে দিনব্যপি নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সোহাগুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে খবর পেয়ে খুলনা থেকে একটি ডুবুরি দল এসে দিনব্যাপি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ওই শিশু আদেও নদীতে ডুবে গেছে কিনা তার পরিবার সঠিক তথ্য দিতে পারছেনা।