গত শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নড়াইল সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের চাঁচড়া গ্রামের (উত্তরপাড়া) প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কুবাদ আলী বিশ্বাসের বাড়িতে তার স্ত্রী আকলিমা বেগম ও ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট রমজান আলী বিশ্বাস এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, যশোর ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ আমাকে মুঠোফোনে অসম্মানজনক ভাষায় কথা বলেন এবং আমার ছেলেকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।আমার ছেলের বিরুদ্ধে কোন কেচ-কারবার নেই, আমরা বাড়িতে নেই, রাতে এসে এই আরিফ এভাবে ভাংচুর করে গেল, গালিগালাজ করে গেল, এগুলো কি ঠিক? আমার ছেলে যদি কোন অন্যায় করে থাকে তা সেটা আইনে বিচার হবে, কিন্তু আমার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগটা কি? আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
তিনি জানান, আমার এক ছেলে রিপন বাংলাদেশ পুলিশের এসআই, আরেক ছেলে সেনাবাহিনীর চাকুরি থেকে (সার্জেন্ট) অবসর নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে এধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা কুবাদ আলী বিশ্বাসের ছেলে রমজান আলী বিশ্বাস বলেন, আমার নামে কোন মামালা নেই। টগর যদি আমার কাছে টাকা পেয়ে থাকে তাহলে চেক ডিজ অনারের মামলা করুক। আমার বাড়ি নড়াইল।যশোর ডিবি পুলিশের এস আই আরিফ আমার নিকট টাকা দাবি করছে।আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হুমকি দিচ্ছে। বে আইনি ভাবে আমার বাড়ি এসে বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে।আমার মায়ের সাথে মোবাইলে অকথ্য
ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় জানতে নড়াইলকণ্ঠ প্রতিনিধি কয়েকবার মুঠোফোনে কল করলে (০১৭১৯৩৮১৫১৮) তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ ঘটনার বিষয় নড়াইল সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার জানামতে জেলা বাইরের কোন পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এধরনের অভিযানে প্রবেশের কোন নিয়ম নেই।
নড়াইলের চাঁচড়া গ্রামের বিশ্বাস পরিবারে সন্তান মরহুম আফছার উদ্দিন নড়াইল মহাকুমার প্রথম আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ভাষাসৈনিক হিসেবে একুশে পদকপ্রাপ্ত, তার সন্তান শহীদ সাইফ মিজানুর রহমান, তাকে পাক হানাদারা নির্মমভাবে হত্যা করেন,এই পরিবারের আরেক সন্তান সাবেক সাংসদ বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফ হাফিজুর রহমান খোকন। এই পরিবারের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কুবাদ আলী বিশ্বাস।এই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীঘর ভাংচুর ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন এলাকার সুধিজনও মানবাধিকার কর্মীরা। সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবী করেছেন বিজ্ঞজনেরা।