সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে প্যান্ডেলে টেবিল-চেয়ার দিয়ে সাজানো। ইফতারের কিছু সময় আগে থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটা টেবিলে প্লেটে প্লেটে সাজাচ্ছেন ইফতার সামগ্রী। এরপর একে একে রোজাদার পথচারী ও আশপাশের দোকানদাররা এসে বসছেন সেখানে। দোয়া শেষ করে সময় হলে ইফতার করছেন সকলে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পদের ইফতারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ উন্মুক্ত ইফতার পার্টিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন পথচারী সাধারণ মানুষেরা। তৃপ্তিসহকারে ইফতার করতে পেরে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের প্রশংসা করছেন তারা।
নিয়মিত ইফতার করতে আসা মো. রবিউল ইসলাম নামে একজন বলেন, মিরাজ ভাইয়ের উদ্যোগে এখানে প্রতিদিনই বিনামূল্যে ইফতারি করানো হয়। আমরা সবাই মিলে আনন্দের সঙ্গে ইফতার করি।
টুকু মল্লিক বলেন, এখানে যেদিন থেকে রোজা শুরু হয়েছে সেদিন থেকে পরিপূর্ণভাবে বিভিন্ন প্রকারের ফল-ফলাদি, খাবার দিয়ে রোজাদারদের জন্য ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। পুরো রমজান জুড়ে ইফতারি দেওয়া হবে। আয়োজনটা খুব ভালো। আমার জানা মতে, এই এলাকায় মিরাজ খান একাই এই আয়োজন করেন। আর কেউ করে না।
এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লিটন মোল্যা ও হিরু মিয়া বলেন, যারা স্বেচ্ছায় ইফতার করতে চাইবেন, তারা এখানে বসে ইফতার করতে পারবেন। ৩০ দিনই এই ইফতারের আয়োজন করা হবে। প্রতিদিন ১শ থেকে দেড়শ জনের আয়োজন করা হয়। কোনদিন গরুর মাংস-ভাত, কোনদিন ডাল-ভাত, আবার কোনদিন শুকনা খাবার, দই-মিষ্টি, চিড়াসহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে ৩০ দিনের আয়োজন সাজানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোহেলী অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উন্মুক্ত ইফতার পার্টির আয়োজক খান মিরাজুল ইসলাম বলেন, পথচারী যারা ইফতারির সময় বাড়ি পৌঁছাতে পারে না, আবার যাদের ইফতারি করার মতো সামর্থ্য নেই। তাদের জন্য ২০২০ সাল থেকে আমার শিক্ষিকা স্ত্রীর পরামর্শে এ আয়োজন করে আসছি।