ট্রেন দুর্ঘটনা : উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে দুই প্লাটুন বিজিবি
গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) রাতে নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১২)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের চাচাতো ভাই রিপন শেখ তার পক্ষের লোকজন নিয়ে সীমানা নিয়ে বিরোধপূর্ণ বাবলু শেখের জমির তালগাছ কাটতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে বাবলু শেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালগাছ কাটা বন্ধ করতে বলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবলু শেখের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় রিপন শেখ। ঘটনার সময় বাবলু শেখের আরও তিন ভাই এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবলু শেখের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এসময় তাকে (বাবলু শেখ) উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় আসামীরা হলো- নিহতের চাচাতো ভাই রিপন শেখ (৪৫), মুরাদ শেখ (৪০), নাছির শেখ (৩৫) ও ইনছান শেখ (৪৮), রিপনের পক্ষীয় একই গ্রামের ছাকা শেখ (৫০), মফিজুর কাজী, জাকির মোল্যা (৫০), মিজানুর শেখ (৪৫), হুমায়ুন শেখ (৪৫), মনির শেখ (৩৫), খোকন শেখ (৩০),বাড়ীভাঙ্গা গ্রামের ছাকায়েত মোল্যা (৫৫), লাবলু মোল্যা (৪৮), চরব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের নাজির মোল্যা (৫০), মোস্তাক মোল্যা (৪২), নূর আলম মোল্যা (৩৫), শহিদুল্লাহ মোল্যা (৫৫), রুবেল মোল্যা (২৫), রমজান মোল্যা (৩০), রহমান শেখ (৪৫), ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের নূরুজ্জামানন ওরফে নূরনবী (৬০), জনি মোল্যা (৩০), হুমায়ুন মোল্যা (৫০), মোনায়েম মোল্যা (৪০), মাহাবুব মোল্যা (৫০)।
এদের মধ্যে নূরুজ্জামান ওরফে নূরনবীকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি মো: নাসির উদ্দিন জানান, নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনের নামে বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলা নং-১২। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
