রোববার (৩১ জুলাই) সকালে ওই কৃষক মারা যান।
নিহত মুক্তার হোসেনের বাড়ি দিঘলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামে।সে জাফর আলীর ছেলে।নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার( ৩০ জুলাই) সকালে স্থানীয় দিনমজুর মিজানুর হোসেনের কৃষক মুক্তার হোসেনের জমিতে কাজ করার কথা ছিল। সেখানে কাজ না করে অন্যের জমিতে কাজ করতে যান মিজান।অগ্রিম টাকা নিয়ে নিজের জমিতে কাজ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক মুক্তার হোসেন মিজানুরকে বকাবকি করেন।
ওইদিন দুপুরে এই ঘটনা প্রতিবেশী ইমন সরদারকে জানালে রাতে মিজানুর, ইমন সরদার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে মুক্তার হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে।এসময় ঠেকাতে গেলে মুক্তারের ছেলে ঈসমাইলকেও পিটিয়ে আহত করে তারা।পরে স্থানীয় লোকজন আহত মুক্তার হোসেনকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।সেখানে মুক্তার হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে রোববার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, ঘটনার পরপরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েনকরা হয়েছে। মরদেহ খুলনায় ময়নাতদন্ত শেষে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।