এ সময় স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন- নিহত কামরুলের স্ত্রী রহিমা বেগম, পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি, সাবেক ইউপি মেম্বার কোবাদ মোল্যা, বিল্লাল হোসেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিসলু, বাজারের ব্যবসায়ী মুন্সি লুৎফর রহমানসহ অনেকে।
গত ৩০ জুন ভোরে পুরুলিয়া গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে কামরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।এ সময় আরো পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ ঘটনায় কামরুলের ভাই জাকির শেখ গত ৩ জুলাই ৩১ জনের নামে কালিয়া থানায় মামলা করেন।এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত কামরুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, পুরুলিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শাহাদত সরদারকে পরিবর্তন করে মোস্তাক আহমেদ কিসলুকে সভাপতি করা হয়।তবে নতুন সভাপতি কিসলুকে মেনে নিতে পারেননি সাবেক সভাপতি শাহাদত সরদারসহ তাদের লোকজন।এ নিয়ে গত ২৪ জুন জুমার নামাজের পর শাহাদত সরদার পক্ষ এবং প্রতিপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।এরপর ৩০ জুন সকালে ফজরের নামাজের পর প্রতিপক্ষের লোকজন কামরুল শেখদের বাড়িতে এসে তাকে কুপিয়েহত্যা করে।এ সময় কামরুলের দুই ভাই জাকির ও ইমরুল শেখ, চাচাতো ভাই মানসুর, মঞ্জুর ও সবুর শেখকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।তাদের প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়।