• 24 Apr, 2024

নড়াইলে ডিসি’র হস্তক্ষেপে কোচিং সেন্টার বন্ধ! অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখতে ডিইওকে দায়িত্ব!

নড়াইলে ডিসি’র হস্তক্ষেপে কোচিং সেন্টার বন্ধ! অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখতে ডিইওকে দায়িত্ব!

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে নড়াইলে কোচিং সেন্টার বন্ধ! নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ে শিক্ষক থাকতে অন্য শিক্ষক ক্লাস নেয়ার অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে নড়াইলে কোচিং সেন্টার বন্ধনড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ে শিক্ষক থাকতে অন্য শিক্ষক ক্লাস নেয়ার অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের  সিদ্ধান্ত জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্যসম্প্রতি সরকার ঘোষিত কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর নীতিমালা অমান্য করে শহরের ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাণিজ্যিকভাবে কোচিং সেন্টার খুলে স্টুডেন্ট পড়ানো নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।সংবাদ প্রকাশের পরে ওই শিক্ষক স্কুলের কমলমতি ছাত্রদের দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিছিলে বের করে বলে অভিযোগ উঠে।

বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচরে আসলে তিন তাৎক্ষণিক ওই কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে দেন।একই সাথে অনুমোদিত বিষয়ে শিক্ষক থাকতে অন্য শিক্ষক ক্লাস নেয়ার অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।

 সম্পর্কে জেলা প্রশাসক এবং ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানাননড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনাহুত যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারিবিকালে স্কুলের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)দের নিয়ে আমি বসেছিলাম। আপনাদের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিউজগুলোও আমি দেখেছি ভালোভাবে এবং ফেসবুক লিংককে যে নিউজ এসেছে সেটিও আমি দেখেছি।এটা অপ্রত্যাশিত।গতকালকেও এটা বলেছি যেজেলা প্রশাসকের কাছে স্টুডেন্টরা মিছিল নিয়ে ছুটে আসবে এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটা আমি স্বীকার করবো বর্তমানে বয়েজ স্কুলে ডিসিপ্লিনটা নেই।

তিনি আরও বলেনস্কুলের শিক্ষকরা কমিটেট ছিলো যে না  স্কুলের পরিবশে ফিরে আসবে।এখন দুএকজন টিচার যারা প্রাইভেট পড়াচ্ছেনএটা এক্সট্রা ক্লাস নয়।গার্ডিয়ান মহলে যেটি প্রচার হয়েছে এটা এক্সট্রা ক্লাসনা এটা এক্সট্রা নয়এটি প্রাইভেট কোচিংএটা তারব্যক্তিগত।

 প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেনখুবই দৃষ্টিকটু যে স্কুলের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রাইভেট বা কোচিং পড়ানো বন্ধ করা হয়েছে এবং এটা চলবে না। প্রাইভেট পড়ানো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি সে অন্য কোথাও পড়াবে।

তিনি আরও বলেনজেলা প্রশাসক হিসেবে আপনাদেরকে কথা দিতে চাই যেআমি খুবই হার্ডলাইনে আছি এবং যে দুটি ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে সেটা আমি বললামআর  স্কুলের মনিটরিংটা অবশ্যই আরও বাড়িয়ে দিবো।আশাকরি ভবিষ্যতে রিজাল্ট ভালো হবে।

তিনি বলেনওই স্কুলের যেটি ক্লাস রুটিনের কথা বলা হয়েছে যে হিসাব বিজ্ঞান বা কমার্সের শিক্ষকদেরকে দিয়ে অংক করানো হচ্ছে সেটিও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিরুটিনটা চেঞ্জ হবে এবং সাইন্সের টিচার বা গণিত যারা পড়ান তারাই এটা পড়াবে।

এরপরও আমরা একটা মনিটরিং টীম করতেছি যাতে করে এই শিক্ষক না শুধু অন্য কোন টিচারও যাতে কোন ধরণের ইনডিসিপ্লিনের মধ্যে না চলে।

এদিকে নড়াইল জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি  আব্দুল হাই সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোমনিরুজ্জামান মল্লিক  প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেনকোচিং সম্পর্কে বলতে গেলে নেতিবাচক ধারণা শিক্ষার্থী-অভিভাবকশিক্ষক সবার ভেতরই কাজ করে।আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব সময় চাই শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণিকক্ষে রেখে তাদেরকে সঠিক পাঠদান করাতে।তাদেরকে সরকারের যে ঘোষিত শিক্ষা নীতি কোয়ালিটি এডকেশন সে দিকে আলোকপাত করতেআমরা সেই চেষ্টাই করে যাই।কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু কোচিং বাণিজ্য বা যত্রতত্র এধরণের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেবিশেষ করে দেখা যায় ক্লাসটাইমে সকাল -৪টা পর্যন্ত এই সময়ে যখন শিক্ষার্থীরা কোচিং প্রতিষ্ঠানে তারা পড়া-লেখার কাজ করে তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা আসে নাশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়।

 প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেনআমরা যদি কোচিংকে বন্ধ করতে চাই তাহলে সরকারের নীতিমালার আলোকেসরকার যে বিষয়ে ক্লাসের অনুমোদন দিয়েছে সেটি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে মনিটরিংএর ব্যবস্থা জোরদার থাকতোবিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যিনি আছেন এবং শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা যারা আছেন তারা যদি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে তাহলে এই কলেজ বা স্কুল চলাকালিন সময়ে ছেলে-মেয়েরা কোচিংএর প্রতি এতো আগ্রহী হয়ে উঠতো না।