• 09 Oct, 2024

নড়াইলে ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, স্বর্ণালংকার উদ্ধার

নড়াইলে ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, স্বর্ণালংকার উদ্ধার

নড়াইল: নড়াইলে ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ জুলাই) ভোরে জেলার নড়াগাতি এলাকায় দ্বিতীয় দফা ডাকাতিকালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তারা।

এসময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নড়াইলের বড়দিয়া ও গোপালগঞ্জ এর রামদিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ডাকাতি করা স্বর্ণালংকার।  

ডাকাতি করা স্বর্ণ কেনার অভিযোগে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ফলসি ফুকরা গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে আল আমিন (৩১), একই গ্রামের বালাম শেখের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩২), খুলনা জেলার তেরখাদা থানার নলিয়ার চর গ্রামের জলিল মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (৩৮), একই গ্রামের তারা ভুঁইয়ার ছেলে গোলাম রসুল (৩৪), একই থানার আটলিয়া গ্রামের দাউদ আলী শিকদারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩৩) এবং নড়াইলের নড়াগাতি থানার নলামারা গ্রামের অরুণ ভৌমিক (৫২)। তারা সবাই পেশায় ভ্যানচালক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক।

আটক স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার রামদিয়া বাজারের পূজা জুয়েলার্সের মালিক অমৃত বালা (৩৯) ও নড়াগাতি থানার বড়দিয়া বাজারের অপূর্ব জুয়েলার্সের মালিক অপরেশ শিকদার (৩৫)।

পুলিশ জানায়, গত ২ জুলাই রাতে নড়াগাতি থানার নলামারা গ্রামের মফিজুর চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল ও একটি টেলিভিশন লুট করে নিয়ে যায়। পরে ৭ জুলাই মফিজুর চৌধুরী নড়াগাতি থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন।

প্রথম দফা ডাকাতির মামলার পর পুলিশ ডাকাতদের চিহ্নিত করতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ডাকাতদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ৭ জুলাই রাতে একই এলাকায় আবার ডাকাতি করার পরপরই পুলিশ তাদের মালামালসহ গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে কাশিয়ানীর পূজা জুয়েলার্স এবং নড়াইলের বড়দিয়ার অপূর্ব জুয়েলার্স থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে দুটি চেইন, দুটি চুড়ি, দুটি হার, পাঁচ জোড়া কানের দুল, চারটি আংটি, দুটি ভাঙা চুড়ি ও দুটি রুপার নূপুর।

পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। প্রথম ঘটনায় মামলা হয়েছে, দ্বিতীয় ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। আসামিদের নামে খুলনা ও যশোরে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিন/চারজন জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে।