• 25 Mar, 2025

নড়াইলে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব সাত দরিদ্র পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন এমপি মাশরাফী

নড়াইলে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব সাত দরিদ্র পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন এমপি মাশরাফী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নড়াইলে ৭টি পরিবারের ১১টি ঘর পুড়ে ছাই! ওই পরিবারের কারোরই পরণের কাপড় ছাড়া আর কিছুই ছিলোনা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ০ ৫ মে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার বাশঁগ্রামের ইউনিয়েনের চরশালিখা গ্রামে। এ দূর্ঘটনার সংবাদ শুনে ওই দিন রাতেই নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা খাদ্য, বস্ত্রসহ অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে পরিবারের পাশে গিয়ে দাড়ান।

তিনদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় পুনরায় এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পক্ষ থেকে পিতা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফকির, পার্শ্ববর্তী চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সদস্য খোকন কুমার সাহা, শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল আলম, নড়াইল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ওই চরশালিখা গ্রামের আগুনে পুড়া ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারের হাতে ২ হাজার টাকা, এক বস্তা চাউল ও ডাল তুলে দেন।

এ সময় আগুনে পুড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দুরাস্থা দেখে তাৎক্ষনিকভাবে চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল আলম প্রতি পরিবার এক হাজার এক হাজার করে টাকা নগদ তুলে দেন।

এ সময় এমপি’র পিতা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জানান, আপনাদের এমপি দ্রুতই আপনাদের কাছে আসবেন এবং প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, ছিলাম এবং থাবকো ইনশাল্লাহ। 
উল্লেখ্য, গত (০ ৫ মে) সোমবার দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার বাশঁগ্রামের ইউনিয়েনের চরশালিখা গ্রামে অগ্নিকান্ডে ৭টি পরিবারের ১১টি ঘর শটসার্কিটে আগুন লেগে পুড়ে যায়। এতে কমপক্ষে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগস্তরা জানায়।

লোহাগড়া ফায়ার ষ্টেশনের সাব অফিসার অমল কৃষ্ণ বসু বলেন, আমরা খবর পেয়ে এসে ২ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছি।

নড়াইল ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাগেছে, সোমবার দুপুরে চরশালিখা গ্রামের শিহাব শেখের বাড়ীতে বৈদ্যুতিক শটশার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এসময় একে এক মোঃ সরুমিয়া শেখ, মোয়াজ্জেম শেখ, আশরাফ শেখ, চানমিয়া শেখ, আলিমিয়া শেখ ও পজু শেখের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার পূর্বেই ১১ ঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়।

বাশঁগ্রাম ইউনিয়েনর ৫নং ওয়ার্ডে মেম্বর মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি নড়াইলে একটি মিটিংএ ছিলাম আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়ে গ্রামে এসে দেখি ৭টি পরিবারের ১১টি ঘর পুড়ে ছাই।

বাঁশগ্রাম ইউনিয়ের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি নড়াইলে ছিলাম খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি আগুন নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে তবে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। এরা গরীব মানুষ। এদের নিজের কোন জমি নাই পরের জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আমি সরকার অন্যান্য সকলের কাছে আহবান করি এই অসহায়দের পাশে দাড়ানোর জন্য। এতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।##