ইসলামিক ফাউন্ডেশন নড়াইল জেলা কার্যালয় সূত্রে( ২৩ আগস্ট) জানা যায়,ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪-৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদান দেয়া হয়।এ শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে সদর উপজেলায় ৬২টি, কালিয়া উপজেলায় ৭৫টি এবং লোহাগড়া উপজেলায় ৬৩টি কেন্দ্র চালু রয়েছে।এসব কেন্দ্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর মৌলিক চেতনা নিয়ে লেখা আমার প্রথম পড়া এবং কায়দা ও দীনি শিক্ষা নামক দুটি বই পড়ানো হয়।এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১২-১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।কোরআন শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ৮২টি, কালিয়া উপজেলায় ৯২টি এবং লোহাগড়া উপজেলায় ৯৬টি কেন্দ্র চালু রয়েছে।এছাড়া ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের জন্য সদর উপজেলায় ৭টি, কালিয়া উপজেলায় ৩টি এবং লোহাগড়া উপজেলায় ২টি বয়স্ক কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্র চালু রয়েছে।বয়স্ক কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নড়াইল জেলা কারাগারের কয়েদীদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।এছাড়া সরকারি শিশু পরিবারে ও পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম এবং নাকশী আশ্রয়ণ কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে।প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন শিক্ষক নিয়োজিত আছেন।প্রত্যেক কেন্দ্রের শিক্ষক মাসিক বেতন হিসেবে ৫হাজার টাকা পান।দুই ঈদে মাসিক বেতনের সমপরিমাণ দুটি বোনাস পান।এছাড়া জেলার ৩ উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ১২টি সাধারণ রিসোর্স সেন্টার ও ৪টি মডেল রিসোর্স সেন্টার রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নড়াইল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ইয়াছিন মোল্যা বাসসকে জানান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- কোমলমতি শিশুদের প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাদান,শিশুদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয়চেতনা সম্পর্কে ধারনা দেয়া, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা,নৈতিকতা, মূল্যবোধ,সততা ও দেশপ্রেমে জাগ্রত করা এবং শিষ্টাচার বিষয়ক শিক্ষাদান প্রদান।এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন কেন্দ্র নিয়মিত তদারকি করে থাকেন।প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিশু শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজী ও গণিতের প্রাথমিক জ্ঞান প্রদানের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হিসেবে গড়ে তোলা হয় বলে তিনি জানান।