নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় চুরি - ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে। ১২ দিনে তিন বাড়িতে চুরি - ডাকাতি হয়েছে।এ সময় তিন পরিবারের প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা খোয়া গেছে।এতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সর্বশেষ ১ অক্টোবর রাতে লোহাগড়ার দিঘলিয়া পূর্বপাড় গ্রামের শিক্ষক দুলু মুন্সীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।ডাকাতরা বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে শিক্ষক দম্পতিকে জিম্মি করে ৯ ভরি স্বর্ণ ও নগদ তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।
দুলু মুন্সী জানান , ডাকাতির সময় গ্রিল কেটে ভেতরে পাঁচজন ঢোকে। বাইরেও কয়েকজন ছিল।
একই দিন দুপুরে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী আল মামুনের লক্ষ্মীপাশা ডাক বাংলো সংলগ্ন বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক মামুন জানান , তার বাসায় কেউ না থাকায় চোরের দল বাসার দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে।লকার ভেঙে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। পুলিশ
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২০ সেপ্টেম্বর রাতে লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মীপাশা বাজারের মুদি দোকানদার বিল্লাল মোল্যার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।একদল মুখোশধারী বেলকোনির গেট কেটে ঘরে ঢুকে বিল্লালের স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে।
বিল্লাল জানান , ছয়জন ডাকাত ঘরের মধ্যে ঢুকেছিল। কয়েকজন বাইরেও ছিল। ডাকাতরা লুঙ্গি – প্যান্ট পরিহিত এবং মুখে গামছা পেঁচানো ছিল।
লক্ষ্মীপাশা গ্রামের শরিফুজ্জামান জানান , ‘ প্রায় টিউবওয়েল , লোহার রড , পানির পাম্প চুরি হচ্ছে।অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে কিন্তু চোর - ডাকাত গ্রেফতার বা মালামাল উদ্ধারে পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।থানার কাছাকাছি এলাকায় গত ১২ দিনে ৩টি ডাকাতি হয়েছে। ফলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ’
চুরি - ডাকাতি রোধে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে জানিয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) নাসির উদ্দীন বলেন , মুদি দোকানদার বিল্লাল মোল্যার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে।এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সর্বশেষ ৪ অক্টোবর মাইটকুমড়া থেকে চোরাই কয়েকটি সাটার , চারটি টিউবওয়েল , দুটি সিলিং বৈদ্যুতিক পাখা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।