জেলার ৩ উপজেলায় ৩৩ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।এর মধ্যে একটি কামিল পর্যায়ের মাদ্রাসা, ৩টি আলীম পর্যায়ের মাদ্রাসা ও ৭টি দাখিল পর্যায়ের মাদ্রাসা রয়েছে।
নড়াইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে( ২ আগস্ট, রবিবার) জানা গেছে, ২০২০ সালে দরপত্রের মাধ্যমে সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার ১১টি মাদ্রাসার চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়।এর মধ্যে যাদবপুর দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ২০লাখ টাকা,টোনা আলীম মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩লাখ টাকা,দেবদুন দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ২০লাখ টাকা,মীর্জাপুর হাজিবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিলমাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, কুমড়ী-তালবাড়িয়া আলীম মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা,আমাদা দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিকভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩লাখ টাকা, বাক্ষèনডাঙ্গা সম্মিলিত কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, নখখালি দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, চাঁচড়া দারুল উলুম আলীম মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং শাহাবাদ মাজিদীয়া কামিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।এসব মাদ্রাসার মধ্যে চাঁচড়া দারুল উলুম আলীম মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ এবং বাক্ষèনডাঙ্গা সম্মিলিত কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।বাকি মাদ্রাসাগুলোর একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুনাভ রায় জানান, মাদ্রাসাগুলোর একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্তের পর সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।অত্যাধুনিক মানের এসব ভবন নির্মাণের ফলে মাদ্রাসার শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে।