• 04 May, 2024

নড়াইল শিল্পকলার ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ঘেরাও

নড়াইল শিল্পকলার ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ঘেরাও

নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা হামিদুর রহমানকে স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

পাশাপাশি তাঁকে জেলা থেকে দ্রুত অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাংস্কৃতিক কর্মীরা নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এসব দাবিতে অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। পরে শহরে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত এক বছরে দুর্নীতিবাজ এই অফিসার বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, অডিটরিয়াম সংস্কারের নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকার দুর্নীতি করেছে। বিভিন্ন সময় শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষক-কর্মচারীদের অপমান ও শিল্পকলা থেকে বের করে দিয়েছেন। এসব কারণে গত ১০ দিন শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন করেছেন। এই স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আর এক দিনও দেখতে চাই না। এ ছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নড়াইল ছেড়ে চলে না গেলে শিল্পকলা একাডেমি তালা মেরে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা।

 

সমাবেশের পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সম্প্রতি তার (কালচারাল অফিসার) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতিবিষয়ক সচিবের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। টাকা আত্মসাৎসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির যে প্রতিবেদন প্রদান করেছে, সেটিকে তিনি মিথ্যা দাবি করেন।’