নড়াইলকণ্ঠ ডেস্ক: ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা ও প্রধান সহকারী শিমুল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল ২২ জানুয়ারি, রবিবার দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা ও প্রধান সহকারী শিমুল কুমার ঘোষ বরাবর পৃথক পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাদের নিজ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।
দুদক উপ-পরিচালক জানান, আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি লদমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই নোটিশে।
মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৭৭টি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল দুদকের কাছে।মিথ্যা বিল-ভাউচারে অত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত নড়াইল পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।