রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নপর দৌলতপুর গ্রামের ওসমান মোল্যার ছেলে ফারুক মোল্যা (৫০), আয়ুব আলীর ছেলে রজিবুল মোল্যা (৩০), সাত্তার মোল্যার ছেলে চঞ্চল মোল্যা (৩৫) ও শহিদ মোল্যার ছেলে শফিকুল মোল্যা (৩৩)।
এদিকে এ মামলার আসামি ফারুক মোল্যাকে (৫০) গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার ভোরে মাগুরা জেলার হরিশপুর এলাকায় অবস্থিত তার বিয়াই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম মামলার বলেন, এ ঘটনায় ফারুক মোল্যা নামে একজনকে শনিবার ভোরে মাগুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবক রাজিবুলের ফোন কলে পাওনা টাকা আনতে যান। মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে রাজিবুলসহ ফারুক, চঞ্চল, শফিকুল মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী বাসনা মল্লিক বিষয়টি জানিয়ে দেবে বললে হুমকি-ধমকি দিয়ে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে এ ঘটনায় ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে বিকেলে শেষকৃত্য করা হয়।
নিহত বাসনা মল্লিক নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য (মেম্বার) এবং ওই ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী।