• 14 Dec, 2024

নড়াইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

নড়াইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার  ঘটনা ঘটেছে।ঘটনার সূত্রপাত দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় ১৮ বছর বয়সী এক কলেজ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে।

গতকাল জুমার নামাজের পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নজরে বিষয়টি আসার পর ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার  বিচারের দাবিতে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বিক্ষোভকারীরা -৩টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং গোবিন্দ সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।আগুনে একটি টিনের ঘর পুড়ে গেছে।
 সময় তারা সাহাপাড়ায় গোবিন্দ সাহা  দিলীপ সাহার বাড়িঅভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবার দোকানসহ -৩টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং গোবিন্দ সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে একটি টিনের ঘর পুড়ে গেছে।

 ছাড়াবিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সাহাপাড়া মন্দিরের চেয়ার  সাউন্ড বক্স ভাঙচুর করে।

গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে বাড়ি থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গতকাল উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি  টিয়ার শেল ছুড়েছে বলে জানান এলাকাবাসী  পুলিশ।

দিঘলিয়া ইউনিয়নের  নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য প্রভাত কুমার ঘোষ বলেনফেসবুকে ওই ছেলের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর  মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। তারা একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

লোহাগড়া থানার পরিদর্শক(তদন্তহারান চন্দ্র পাল বলেনপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগান থেকে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি  কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাস্থানীয় জনপ্রতিনিধি  রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিষয়টি মীমাংসায় কাজ করে যাচ্ছেন।অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী পলাতক।তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ভাঙচুরঅগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি।

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী বলেনঅভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আমরা এখনো পাইনি।তাই তার পোস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। এটি কোনো সংগঠিত হামলা নয়।দিঘলিয়া একটি বড় বাজার হওয়ায় এটি একটি বিচ্ছিন্ন হামলা। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। মন্দিরে কিছু ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে।