• 07 Feb, 2025

নারী উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধ ও জয়িতা টাওয়ারে পুণর্বাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

নারী উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধ ও জয়িতা টাওয়ারে পুণর্বাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

রাপা মাজা থেকে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধ এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নির্মিত জয়িতা টাওয়ারে পুণর্বাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাপা মাজা থেকে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধ এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নির্মিত জয়িতা টাওয়ারে পুণর্বাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলরুমে বেলা সাড়ে ১১টায় জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাবৃন্দের পক্ষে প্রেস নোট পাঠ করে শোনান নারী উদ্যোক্তা নড়াইল নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কোহিনূর আক্তার। দাবী সমূহ উপস্থান করেন নারী উদ্যোক্তা আফসানা হক তুলি।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নারী উদ্যোক্তাদের সংস্থা। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করা নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমিতি নিয়েই এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানকালীন সময় এবং এর পর থেকে আমরা এই সংস্থার অধীনে থেকে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি দেশের সুবিধাবঞ্চিত নারী সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার কাজে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিটি সমিতির মাধ্যমে শত শত নারী তাদের তৈরিকৃত পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তারা সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের নারী জাগরণের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা সরকারকে সহযোগিতা করেছে। নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি আমরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অংশ নিয়েছি।

joyta04.jpgসাংবাদিক বন্ধুগণের সামনে বলেন, জযিতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিটি সমিতিকে নির্দিষ্ট জামানতের বিনিময়ে রাজধানীর রাপা প্লাজায় পণ্য প্রদর্শন ও বিপননের জন্য দোকান বরাদ্দ দেয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জয়িতা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ভবন নির্মাণের পর উদ্যোক্তা সমিতিগুলোকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে এবং প্রতিটি সমিতিকে একটি দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে। মূলত সেই বরাদ্দের বিপরীতে প্রতিটি সমিতি ফাউন্ডেশনকে জামানত প্রদান করে।

সেই স্বপ্ন নিয়েই আমরা প্রতিটি সমিতি গত একযুগের বেশি সময় ধওে নিরলস পরিশ্রম করে সারা দেশের নারীদেও নিয়ে কাজ কওে যাচ্ছি। অথচ জয়িতা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ভবন নির্ণমানের পর সরকার সেখানে সমিতিগুলোকে দোকান বরাদ্দ না দিয়ে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে রাপাপ্লাজা থেকে উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করেছে। ৩১ মার্চের পর জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের সমিতিগুলো কোথায়, কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে, সেই ব্যাপারে কোন দিক নির্দেশনা নোটিশে দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ভবনে সরকার ভিন্নভাবে দোকান বরাদ্দ/বাবসা পরিচালনা করবে। সমিতিওলো সেখানে পণ্য সরবরাহ করবে। এমনকি অবিক্রিত পণ্য নির্ধারিত সময় পর ফেরত নিতে হবে। ড্রাই ফুড ও রেগুলার ফুড এর বিষয়েও স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্ত নেই, মৌখিকভাবে বলা হয়েছে টেন্ডার এর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বরাদ্দ দেবে যদি টেন্ডার হয় তাহলে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তারা কিভাবে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাবে আপনারা বলেন।

joyta03.jpgদাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে - রাপা মাজা থেকে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নির্মিত জয়িতা টাওয়ারে পুণর্বাসন করতে হবে; ১০৬১ সালে তৎকালীন সময়ে ৬ বিভাগের ৬ জন উদ্যোক্তাকে প্রতিনিধি বোর্ড অফ গভর্নরম বা ইঙএ তে থাকার কথা থাকলেও আজ অবধি কোন নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি রাখা হয়নি আপনারা জেনে নিতে পারেন এটি সংশোধন করে বাদ দেয়া হয়েছে জয়িতা ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অঙ্ক গভর্নর অথবা BOG তে ৮ বিভাগের ৮ জন নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি রাখতে হবে; যতদিন পর্যন্ত অযিতা টাওয়ারের কাজ সম্পূর্ণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের রাপা প্লাজায় ব্যবসা পরিচালনা করতে দিতে হবে; অয়িতা ফাউন্ডেশন এর গঠনতন্ত্র প্রকাশ করা হোক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশন এর গঠনতন্ত্রে নারী উদ্যোক্তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে; অয়িতা টাওয়ার ১২ তলা ভবনের ২ টি ফ্লোরে, রাপা প্লাজায়^ বিপণন ও ফুড কোর্টের ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সকল নারী সংগঠনের উদ্যোক্তাদের জয়িতা টাওয়ারে স্বশরীরে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দিতে হবে; মুসলমানদের প্রধান ২টি ধর্মীয় উৎসব এবং গহেলা বৈশাখ সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী উদ্দ্যোক্তারা ব্যবসা করে সেখানে অয়িতা ফাউন্ডেশন কিভাবে অমানবিক সিদ্ধান্ত দেয় ? ঈদের ঠিক ৬/৭ দিন আগে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন নারীদের কর্মসংস্থানের আয়গা হঠাৎ করে বন্ধ করে এতগুলো নারী পরিবার সহ কর্মহীন বেকার হবে আমাদের পূর্ণবাসনের মাধ্যমে এই নারীদের কর্মক্ষেত্র বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।

এ সময় অন্যান্য নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন, মরিয়ম মান্নান, ফারজানা বিথি, রুবিয়া হেলাল, নারগিস মাসুদ, লায়লা পারভীন, শাহনাজ পারভীন, মাহামুদা খাতুন, দিলশাদ বেগমসহ সকল ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তারা। 

এ সময় বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের ইলক্ট্রেনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।